Skip to content

৯ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | বুধবার | ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সকালে অ্যালার্ম বাজলেই ‘স্নুজ’ করে দেন?

এই প্রজন্মের সকালে দেরি করে ওঠার বেশ বদনাম রয়েছে। তবে পড়াশোনা হোক বা অফিস আদালত চাইলেই তো আর দেরি করে ওঠা সবসময় সম্ভব হয় না। তখন ভরসা হয়ে ওঠে ‘অ্যালার্ম’। 
তবে অনেকের অ্যালার্মের আওয়াজেও ঘুম ভাঙ্গে না। তাদের জন্য অ্যালার্ম ‘স্নুজ’ করে রাখার ব্যবস্থাও রয়েছে। অনেকেই অ্যালার্ম বাজলেও আরও একটু ঘুমিয়ে নিতে অ্যালার্ম ‘স্নুজ’ করে দেন। ‘স্নুজ’ বিষয়টি হচ্ছে কিছুক্ষণের জন্য অ্যালার্ম বাজা বন্ধ হয়ে যায়। আবার কয়েক মিনিট পর থেকে তা বাজতে থাকে। অনেকেই এই ‘স্নুজ অ্যালার্ম’ ব্যবহার করে কয়েক মিনিট বেশি ঘুমিয়ে নেন।
তবে চিকিৎসকদের মতে, এই পদ্ধতির অ্যালার্ম স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। এতে দৈনন্দিন ঘুমের মান নষ্ট হয়। কয়েক মিনিট পর পর ঘুম থেকে তুলে দেওয়ার এই পদ্ধতি শরীরের ওপর বাজে প্রভাব ফেলে। কেননা ঘুমের বিভিন্ন ধাপ রয়েছে। যেমন, এনআরইএম (নন র‌্যাপিড আই মুভমেন্ট) ও আরইএম (র‌্যাপিড আই মুভমেন্ট)।

‘আরইএম’ পর্যায়ে ঘুম অনেক স্বস্তির হয়। এ সময়ে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলে শরীরে এর বাজে প্রভাব পড়ে। ঘুমের চক্র সাধারণত স্থায়ী ৯০ মিনিট। তারপর একটু ভাঙে। আবার এই চক্র শুরু হয়। এমন করে ৪-৬ বার ঘুমের এই চক্রের পুনরাবৃত্তি ঘটে। অ্যালার্ম ‘স্নুজ’ করার ফলে সবচেয়ে বেশি ব্যাহত হয় ঘুমের ‘আরইএম’ পর্যায়। এই ধাপে মানুষ সবচেয়ে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হন। সেটা খুব অল্প সময়ের জন্য হতে পারে। অ্যালার্মের শব্দে এক বার ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর ১০ মিনিটের জন্য স্নুজ করে দিলে যে ঘুমটা আসে, সেটাও ‘আরইএম’ পর্যায় হিসাবে ধরা হয়। ৫-১০ মিনিট পর পর অ্যালার্ম বাজতে শুরু করলে হৃৎস্পন্দন ও রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় প্রথম অ্যালার্মেই ঘুম থেকে ওঠার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ