বসার ঘরের সজ্জা
একটি বাড়িতে কয়েকটি ঘর থাকে। এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্ব দেওয়া হয় যে ঘরটাকে সেটা হচ্ছে বসার ঘর। অতিথি, আত্মীয়-স্বজন, পরিবার সকলের আড্ডার জায়গা সেই একটাই। বসার ঘর নিয়ে একেকজনের সাজানোর পরিকল্পনা এক এক রকম। তবে প্রত্যেকটা মানুষেরই রুচি প্রকাশ পায় তার গৃহ সজ্জার মধ্য দিয়ে।
তবে পছন্দ যেমনই হোক না কেন বিশেষ কিছু বিষয় মাথায় রেখে যদি বসার ঘর সাজানো হয় তাহলে বসার ঘর উঠবে আকর্ষণীয় ও মনোরম-
বসার ঘরের আলো
সর্পিল ঝাড়বাতি বেছে নিন। এই আধুনিক এবং সমসাময়িক ঝুলন্ত লাইট নতুন বয়সের বাড়ির জন্য উপযুক্ত।
বসার ঘরের জন্য দুল ঝুলন্ত আলো ড্রাম দুল, বেল দুল, এবং মিনি দুল, লাগাতে পারেন।
দুল আলোর সবচেয়ে মার্জিত রূপ, বৃত্তাকার দুল আলো বসার ঘরটিকে পরিশীলিত, চটকদার এবং বিলাসবহুল দেখায়। এই ধরনের ঝুলন্ত লাইট সহজলভ্য, এবং বৃত্তাকার আকৃতির হালকা ফ্রেমের ভিতরে লাগানো লাইট আছে। প্রতিটি আলো আলাদা আলাদা আকারের, এবং সম্মিলিতভাবে, তারা বসার ঘরে সৌন্দর্য এবং কবজ যোগ করে।
ভিনটেজ এবং দেহাতি লণ্ঠন হল হলের জন্য সেরা ঐতিহ্যবাহী ঝুলন্ত লাইট। লণ্ঠন হল বসার ঘরের জন্য আলোর সেরা কিছু উৎস, এবং যখন সুন্দর এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে সাজানো হয়, তারা পুরো এলাকাকে আলোকিত করতে পারে।
সোফা
বসার ঘর সাজানোর শুরুতেই যে আসবাব দরকার তা হলো সোফা। আজকাল বাজারে নানান আকার ও ডিজাইনের সোফা পাওয়া যায়। ঘরের আকার বুঝে সোফা বেছে নিতে হবে। ঘর বেশি বড় হলে ‘এল’ আকৃতির সোফা ব্যবহার করা যেতে পারে। সোফা কেনার সময় ঘরের অন্যান্য আসবাবের রং ও দেয়ালের রঙের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। সোফা কিনার ক্ষেত্রে সোফার ডিজাইন যাতে খুব বেশি নকশা করা না থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। এখন অতিরিক্ত নকশা করা ডিজাইনের সোফা একেবারেই মানানসই না এছাড়া পরিষ্কার করতেও ঝামেলা হয়।
পর্দা
পর্দা সম্পূর্ণ ঘরের রূপকেই বদলে দিতে পারে। পর্দা কেনার সময়ঘরের দেওয়ালগুলির রং ও পর্দার রং যেন এক না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কাপড় বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও মাথায় রাখতে হবে সূর্যের আলো যেন ঘরে ঢুকতে পারে। আসবাবপত্র ও অন্যান্য জিনিসগুলি যদি গাঢ় রঙের হয় তখন প্রিন্টেড পর্দা বেছে নিন। তবেই প্রত্যেকটি ঘরের নিজস্ব সৌন্দর্যটি আরও স্পষ্ট করে ফুটিয়ে তোলা যাবে। পর্দার সঙ্গে মানাসই কাপড়ে ঝালর লাগিয়ে নিতে পারেন। অনেক সময় জানালার জন্য ব্যবহৃত ফ্রিল ফেব্রিক কাপড় দিয়ে পর্দা সাজিয়ে নিতে পারেন।
দেয়ালের রং
দেয়ালের রং করার আগে ঘরের আকার আকৃতি দেখে নেবেন। উজ্জ্বল হালকা রঙের দেয়ালের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। ঘরের যে কোন একটি দেয়ালে পছন্দসই কোন একটা থিমের নকশা করা উচিত। এছাড়াও দেয়ালে বিভিন্ন ধরনের ফটো ফ্রেম লাগান যা দেয়ালকে আরো মনোক্রমিক করে তুলবে।
অন্যান্য আসবাবপত্র
আসবাবপত্রের ক্ষেত্রে ঘরের সাইডে ছোট একটা ফ্লোর ম্যাট রাখতে পারেন। সেখানে নানান ধরনের কুশন দিয়ে সাজানো থাকলো। মাথায় রাখতে হবে যেন তার রঙিন হয়। বসার ঘরে একটা দোলনা রাখার ব্যবস্থা করুন। দোলতে দোলতে প্রিয় মানুষের সাথে গল্প করা যাবে। এছাড়াও বসার ঘরে টি-টেবিল, টিভি কেবিনেট, বুক সেলফ এসব রাখতে পারেন। পরিবারের সাথে বসে একটা সিনেমা দেখা গেল কিংবা প্রিয়জনকে বই পড়ে শুনানো গেল।
চাইলে খুব অল্প আসবাবপত্র দিয়ে খুব সুন্দর মনোক্রমিকভাবে বসার ঘরকে আকর্ষণীয় করে তোলা যায়।