Skip to content

১৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | মঙ্গলবার | ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভ্রমণের পোশাক নিয়ে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

ভ্রমণ পিপাসুরা ঘুরতে পছন্দ করেনা এমন কোন নির্দিষ্ট জায়গা নেই। ভ্রমণ করতে পারাটাই মুখ্য উদ্দেশ্য। তবে কেউবা পছন্দ করে সমুদ্রে যেতে, কেউবা পছন্দ করে পাহাড়ে , কেউবা বন জঙ্গল। সে যাই হোক না কেন সে ভ্রমণ টাকে আনন্দের সাথে উপভোগ করাটাই আসল কাজ। ভ্রমন এক ধরনের মানসিক শান্তি। এছাড়াও ভ্রমণ করতে গেলে সুন্দর সুন্দর ছবি তুলবে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। সেই সুন্দর ছবিগুলো হয়ে থাকে আজীবনের স্মৃতি আর সেই স্মৃতিগুলোকে মধুর করার জন্য বিভিন্ন বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। পোশাকের ক্ষেত্রে যতই আপনি স্বাচ্ছন্দ্যকে প্রাধান্য দেন না কেন ছবি তোলার জন্য হলেও ফ্যাশনেবল মনোক্রমিক পোশাকে আপনার পছন্দের শীর্ষতম তালিকায় থাকবে। তাই কোথায় কখন কিরূপ পোশাক পরলে মানাবে সেই সব বিষয় সম্পর্কে সবারই একটু জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। পরিবেশ এবং প্রকৃতির সাথে পোশাকটি কতটা মানানসই সেই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভ্রমণে কি ধরনের পোশাক পড়বেন সেই বিষয়েই জানা যাক –

বর্ষাকাল বৃষ্টি হবে এটাই স্বাভাবিক তবে বৃষ্টি যতই হোক না কেন গরম এবার মাত্রাতিরিক্ত বর্ষাকালেও দরদর করে ঘেমে যাচ্ছে শরীর। একে যদিও শহরের বাইরে তাপমাত্রা কম বৃষ্টিটা একটু বেশি হয় শহরের বাইরে, তবুও গরমের ও বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে মিনিমাল নকশার পোশাক বেছে নেওয়াই উত্তম। সুতি, লিনেন এবং ভিসকস—এই তিন ধরনের কাপড় হালকা এবং বাতাস চলাচলে কোনো রকম বাধা দেয় না। বর্ষা হোক কিংবা গ্রীষ্ম সব ঋতুতে একটা উপযোগী কাপড়।

ভ্রমণের সাথে ফ্রক ও স্কার্ট এই পোশাকগুলো খুবই মানানসই। প্রকৃতির সাথে এই দুইটা পোশাকের কম্ব এক অন্যরকম সৌন্দর্য প্রকাশ করে। দুই তিন দিন ঘোরাঘুরির দুই তিন দিন ভ্রমণ দিবসের মধ্যে যে কোন একদিন শাড়ি পরাই যায়। এছাড়াও ভ্রমণের সাথে ওয়েস্টার্ন যেকোনো আউটফিট নিঃসন্দেহে মানানসই।
পোশাক যেমনই হোক না কেন নকশা যাতে হালকা হয়। কারণ ভ্রমণ মানে সারাক্ষণ এদিক সেদিক ছুটছুটি করা, ঘুরে বেড়ানো, দৌড়ে বেড়ানো। তাই কাপড়ের যদি বেশি নকশা থাকে কিংবা কাপড়ের যদি বেশি লেয়ার থাকে এবং কাপড় যদি অধিক ভারী হয় সেই ক্ষেত্রে আরামের বদলে অস্বস্তি বেশি হবে।
পোশাকের ক্ষেত্রে দামি পোশাকে চেয়ে প্রকৃতির সাথে মানানসই পোশাকে প্রাধান্য দিন। দামি পোশাক মানেই অধিক সৌন্দর্য বিষয়টা সেরকম নয় ভ্রমণের সাথে একটু হালকা পাতলা পোশাকটাই বরঞ্চ শোভনীয়।
ভ্রমণে পোশাকের রং যাতে একটু রঙিন হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। ভ্রমণের কালো, সাদা, ছাই, চকলেট এই ধরনের রং খুবই বেমানান। ভ্রমণ মানে আনন্দদায়ক, ভ্রমণ মানেই উৎসবের অনুভূতি মনে জেগে উঠেছে তাই সেই অনুভূতি প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে পোশাক। আর পোশাক যাতে প্রাণবন্ত ঝলমলে মনে হয় সেই ক্ষেত্রে সর্বোত্তম ভূমিকা রাখবে পোশাকের রং।

পাহাড়ের দিকে গেলে একটু ওয়েস্টার্ন আউট ফিট করার চেষ্টা করুন কিংবা স্কার্ট এবং শার্ট কে অন্যতম তালিকায় রাখতে পারেন। এছাড়াও পাহাড়ের গেলে গাউন টাইপ পোশাক পরতে পারেন।
সমুদ্র এবং শাড়ি দুইটা শব্দ একে অপরের সাথে জড়িত একবার চোখ বন্ধ করে চিন্তা করুন সমুদ্রে শাড়ি পড়ে হাঁটছেন কি সুন্দর লাগছে চারিদিকে পরিবেশটা। তাই সমুদ্রে গেলে একবার হলেও সময় বের করে শাড়ি পরুন।
রিসোর্টে বেড়াতে গেলে নিজের পছন্দকে প্রাধান্য দিন সেখানে হাটাহাটি করার জায়গা কম এবং আরাম করে পুরো ভ্রমণটা উপভোগ করা যায় তাই যেই পোশাকে আপনি স্বাচ্ছন্দের পাশাপাশি আনন্দ উপভোগ করেন সেই পোশাকে প্রাধান্য দিন।

এবার আসি ফ্যাশন অনুষঙ্গের বিষয়ে। অবশ্যই সানগ্লাস, কমফোর্টেবল জুতা এবং মানানসই গহনা সাথে মানানসই ব্যাগ যাতে সেটার ভিতরে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখা যায়। এইসব দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে আর অবশ্যই ভ্রমণে টুপি ছাতা পানি এই সমস্ত নিতে ভুলে গেলে চলবে না।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ