বাংলাদেশে পানির জন্য হাহাকার
হিমালয়ে বরফগলা আর এর পাদদেশের বিপুল বৃষ্টির পানির বড় একটি অংশ গঙ্গা-পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র হয়ে নামছে হাওড়-বাওড়-নদী-নালার দেশ বাংলাদেশের বুক চিড়ে। হাজার বছর ধরে পানির সাথে অপূর্ব মিতালীর এই দেশের নানাপ্রান্তে বাড়ছে পানির জন্য হাহাকার।
কৃষিপ্রধান এই দেশে পানির সংকট অনুভব করা গেছে ৭০-৮০-র দশকেই। তখন চাষাবাদ চালিয়ে নিতে বরেন্দ্র অঞ্চলসহ নানা এলাকায় ধীরে ধীরে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন শুরু হয়। খাবার পানির জন্য মাটির নিচ থেকে পানি তোলার ইতিহাসও কাছাকাছি।
বরেন্দ্র অঞ্চলের নলকূপের বড় একটি অংশ এখন আর কাজ করছে না। নলকূপে পানি না ওঠার এই সমস্যা কেবল উত্তরের খরাপ্রবণ বরেন্দ্র অঞ্চলে সীমাবদ্ধ নেই। বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনার মতো অসংখ্য নদ-নদীবেষ্টিত এলাকায়ও এটা ঘটছে। রাজবাড়ির মতো পদ্মা-তীরের জেলায় শুষ্ক মৌসুমে শুকিয়ে যাচ্ছে পুকুর-খাল, পানি উঠছে না নলকূপে। পানির দেশ হাওড়েও রয়েছে এই সংকট।
পানি, জলবায়ু, পরিবেশ ও ভূমিসহ নানা দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সরকার প্রণয়ন করেছে ‘বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০‘। এই পরিকল্পনায় পানি ও জলাবায়ু উদ্ভূত প্রায় অভিন্ন সমস্যাবহুল অঞ্চল হিসেবে বাংলাদেশকে ছয়টি ভাগে ভাগ করেছে। এর বাইরে কম ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে আরেকটি ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে কয়েকটি জেলাকে।
এই সাতটি অঞ্চল হচ্ছে, উপকূলীয় অঞ্চল, বরেন্দ্র এবং খরাপ্রবণ অঞ্চল, হাওড় এবং আকস্মিক বন্যাপ্রবণ অঞ্চল, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল, নদী অঞ্চল এবং মোহনা, নগর এলাকাসমূহ এবং অপেক্ষাকৃত কম দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চল। এই অঞ্চলগুলোর মধ্যে পানি সংকটের শীর্ষে রয়েছে বরেন্দ্র অঞ্চল এবং উপকূলীয় অঞ্চল। তবে সমস্যা এখন রয়েছে সব অঞ্চলেই।
পানি সংকট: বরেন্দ্রতে একরূপ, উপকূলে আরেক
‘বরেন্দ্র অঞ্চলের ইতিহাস’ বইয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. খালেকুজ্জামান লিখেছেন, ‘‘বরেন্দ্র অঞ্চল জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল, যেখানে মোঘল ও ব্রিটিশরা বিভিন্ন ধরনের প্রাণী শিকার করতো। বাংলার প্রায় সব ধরনের গাছই এখানে পাওয়া যেতো এবং ছোট-বড় বিভিন্ন প্রকার গাছ মিলিয়ে যে বন ছিল তাকে কাটা বন বলা যায়।”
২০০৯ সালে প্রকাশিত এই বইয়ে বলা হয়, “ঊনিশ শতকের শেষের দিকে কিছু ছাড়া ছাড়া এলাকায় বন বাদে প্রায় সম্পূর্ণ জঙ্গল উজাড় হয়ে যায়। এককালের নিবিড় বনাঞ্চল ধ্বংস হয়ে ৮ হাজার বর্গকিলোমিটার বরেন্দ্র এলাকায় বর্তমানে মাত্র দশমিক ২ শতাংশ বৃক্ষাচ্ছাদিত এলাকা আছে।”
বরেন্দ্র অঞ্চলের গাছ নিধনের অন্যতম কারণ ছিল এর মাটির বিপুল উর্বরা শক্তি। মোঘল ও ব্রিটিশ আমলে উজাড় হওয়া বনে যে চাষাবাদ শুরু হয়েছিল, সেখানে আশির দশকে যুক্ত হয় কৃত্রিম সেচ ব্যবস্থা। এর পরের গল্প অনেকেরই জানা। হিসেব ছাড়া পানি তোলার ফলে মাটির নিচের পানির স্তর নেমেছে দ্রুত। এর ফলে অনেক এলাকায় বিকল হয়ে গেছে সেচ যন্ত্র।
এমনকি কৃষি জমিতে পানি না পেয়ে একাধিক আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে বরেন্দ্র এলাকায়। ২০২২ সালে দুই কৃষকের এমন একটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার নিমঘুটু গ্রামে। এই গ্রামের অদূরে মাঠে দুই প্রজন্ম ধরে সেচযন্ত্র পরিচালনা করেন সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে পানির স্তর ৮৬ থেকে ৯০ ফিট নিচে নেমে গেছে। যখন ডিপ টিউবওয়েল স্টার্ট হয়, তখন আরো ১০ থেকে ১৫ফিট নিচে পানি নেমে যায়। আমার পাইপটা ১২০ফিট। ১৯৮৮ সালে এই টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়। তখন এই অঞ্চলে ৪০-৪৫ ফিট পানি নিচে পানি ছিল।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আমার পাশের হাউজে ১০০ফিট পাইপ। সেখানে কখনো পানি পায়, কখনো পায় না। আর দুই এক বছর পর আমার পাইপও পরিবর্তন করতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, ”এখন পানি বেশিও লাগছে। পানির স্তর যদি মাটি থেকে কাছাকাছি থাকে, তখন মাটিতে রস ভালো থাকে। সে কারণে সেচের পানি কম দেয়া লাগে। এখন পানির স্তর যত নিচে নামছে। মাটিতে ততই আরো বেশি পানি দিতে হচ্ছে।”
সাইফুল ইসলামের এলাকায় যখন পানির অভাবে কৃষি কাজ করা যাচ্ছে না তখন বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের বাসিন্দা কানাই মণ্ডলের বাড়ির চারপাশে পানি থইথই করছে। তবে সবটাই লবণ পানি, যা কৃষিতে কোনই কাজে আসছে না কানাইয়ের। তাই বংশ পরম্পরায় কৃষি কাজ করে আসা কানাই গত ২০ বছর ধরে মনের মত করে কৃষি কাজও করতে পারছেন না।
কানাইদের পূর্বপুরুষদের বাড়ি ছিল পাশের মোড়েলগঞ্জ উপজেলায়। বেড়িবাঁধ না থাকায় বছরের বড় একটি সময়জুড়ে সেখানকার গ্রাম ভেসে থাকতো পানিতে। তখন তার বাবা ঘুরে ফিরে কৃষি কাজের জন্য পছন্দ করেন চিলা ইউনিয়ন। এক সময় তারা পরিবারসমেত বসত গড়েন এখানে।
৫২ বছর বয়সী কানাই জানান, তার বাবার আমলে লবণ পানি ছিল সাগরের আশপাশে, যেটা চিলা থেকে অনেক দূরে। ধীরে ধীরে লবণ পানি উজানের দিকে উঠতে থাকে।
তিনি বলেন, ‘‘আমার ছোট বেলাতেই এই এলাকায় লবণপানি পৌঁছে গিয়েছিল। তখন সেটা থাকতো দুই-এক মাস। তখন আমরা দূর দূরান্তের পুকুর থেকে পানি এনে খেতাম। এখন লবণ ৭-৮ মাস থাকে।”
সাইফুলের এলাকা তথা বরেন্দ্র অঞ্চলের মানুষ এখনো কৃষি ও ব্যবহারের জন্য ভূগর্ভস্থ পানির উপর বহুলাংশে নির্ভর করেন। বৃষ্টির পানিও সুবিধামত সময়ে ব্যবহার করেন অনেক এলাকার মানুষ। কূপের পানি খাওয়ার প্রচলন রয়েছে এই এলাকায়। অন্যদিকে কানাইমণ্ডলদের নির্ভরতা এখন কেবল বৃষ্টির পানির উপর। ঘরের ছোট পাত্র থেকে শুরু করে বড় বড় ট্যাঙ্কে তারা বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করেন। খুবই অল্প পরিমাণে কৃষি কাজের জন্য পুকুর বা কুয়াতে ধরে রাখেন বৃষ্টির পানি। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতায় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে নানা প্রযুক্তিও আত্মস্থ করেছেন এই এলাকার মানুষ।
ছড়িয়ে পড়ছে পানি সংকট
লবণপানির প্রসঙ্গ আসলে যেখানে বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল বা চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের কিছু এলাকার কথা মাথায় আসে। সেখানে অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবে এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাম। গত কয়েক বছর ধরে এখানকার নলকূপের পানি থেকে উঠছে লবণপানি, কোন কোন এলাকায় এটি লবণের স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে দ্বিগুণ।
পদ্মাতীরের জনপদ রাজবাড়ীর চার উপজেলায় তীব্র পানি সংকট দেখা দিয়েছিল গত কয়েক মাসে। এ সময় এই এলাকার পুকুর শুকিয়ে যায়, নলকূপে পানি উঠা বন্ধ হয়ে যায়। উপকূলীয় জেলা বরগুনা, পিরোজপুর, বরিশাল, কক্সবাজারসহ নানা জেলার মানুষকে নলকূপেও পানি না উঠার সংকটে পড়তে হয়।
এই সংকট ছড়িয়েছে পাহাড়েও। রাঙামাটির পানি থইথই করা কাপ্তাই লেকের প্রাণকেন্দ্রে বসেও খাবার পানির সংকটে ভুগছে মানুষ।
কাপ্তাই লেকের মাঝে অবস্থিত এমন একটি গ্রামের বাসিন্দা শশী চাকমা বলেন, ‘‘আগে তো সব জায়গায় ঝর্ণায় পানি পাওয়া যেতো। এখন সেগুন গাছ লাগানোর পর পানি শুকিয়ে গেছে। খাবারের পানিটা আমরা আরেকটা গ্রাম থেকে আনি। চার-পাঁচ দিনের পানি এক সাথে আনি। এখন (শুষ্ক সময়ে) একটা কুয়া আছে, সেখান থেকে আনি। তারপর যখন আবার ভরা মৌসুম (বর্ষাকাল) হবে, ডুবে যাবে ওইটা (কূপ), তখন আবার ওই গ্রাম থেকে আনতে হবে।”
রাস্তার পাশের চায়ের পানি কতটা নিরাপদ?
এই উভয় স্থান থেকে পানি আনতে ঘণ্টাখানেক সময় ব্যয় হয় শশীদের।
শশীর শাশুড়ি পুষ্প মাধবী নিজের বয়স বা জীবনকালের সময়ের হিসেব খুব একটা বলতে পারেন না। তবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের কথা তিনি মনে করতে পারেন স্পষ্টভাবেই। সেই সময়ে তিনি এক সন্তানের মা। তার বাবার বাড়িও একই এলাকায়। ছোটবেলা স্মৃতিচারণ করে তিনি জানান, তখন পানির জন্য তাদেরকে যেতে হতো না দূরে। বরং পাড়ার ঝর্ণাতেই সারা বছর পানি পাওয়া যেতো।
তিনি জানান, স্বাধীনতার পরও অনেক বছর এই ঝর্ণাতে সারা বছর পানি পাওয়া গেছে। এরপর ধীরে ধীরে সেটা কমেছে।
শশীদের পাড়ার ঝর্ণাতো দূরে থাক, এখন সারা বছর পানি থাকে না রাঙামাটির বিখ্যাত শুভলং ঝর্ণাতেও। এই ঝর্ণার পাশের এলাকার বাসিন্দা উত্তম কুমার চাকমা বলেন, তাদের ছোটবেলায় এই ঝর্ণায় সারা বছর পানি থাকতো। এখন প্রায় প্রতি বছরই এই ঝর্ণা প্রায় শুকিয়ে যাওয়ার দশা হয়।
গত এপ্রিলে শুভলং ঝর্ণায় গিয়ে দেখা যায়, বিখ্যাত এই ঝর্ণা রূপ হারিয়েছে। ঝর্ণার একেবারে সামনে গিয়ে দেখা যায় চুইয়ে চুইয়ে এত অল্প পরিমাণে পানি পড়ছে যে ১০০ গজ দূর থেকেই তা আর খালি চোখে দেখা যায় না।
বাংলাদেশের ডেল্টা প্ল্যানে যে ছয়টি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তার একটি এই পার্বত্য চট্টগ্রাম।
দেশের নানা এলাকার এই পানি সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশ পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার মহাপরিচালক মোঃ রেজাউল মাকছুদ জাহেদী ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমাদের ভূগর্ভস্থ পানি কিছু কিছু জায়গায় স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় খুবই সংকটাপন্ন অবস্থা। এরমধ্যে একটি হচ্ছে, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ-যেটাকে আমরা ‘হাই বারিন্দ্র এরিয়া’ বলি।”
বরেন্দ্র অঞ্চলের ৮৭টি ইউনিয়নে করা এক গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, এর মধ্যে প্রায় ৪২টি ইউনিয়ন পানির উচ্চ সংকটাপন্ন এলাকার মধ্যে পড়েছে। এখানে পানির স্তর অত্যন্ত নিচে চলে গেছে।
তিনি বলেন, ‘‘এছাড়া বাংলাদেশের রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অন্যান্য জেলাগুলোতেও তীব্র পানি সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ডেল্টা প্ল্যানের ছয়টা এলাকা রয়েছে। পানি আইনে যেটা আমরা ৮টা এলাকার কথা বলি। এ সব অঞ্চলের কিছু কিছু এলাকায়ও এখন পানি সংকটাপন্ন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।”
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভূ-গর্ভস্থ পানি বিজ্ঞান পরিদপ্তরের পরিচালক ড. আনোয়ার জাহিদ বলেন, ‘‘প্রায় পৌনে পাঁচশ নলকূপের ৩৮ বছরের ডেটা বিশ্লেষণ করে আমরা দেখেছি, বাংলাদেশে মোটামুটিভাবে দুই তৃতীয়াংশ এলাকায় পানির স্তর নেমে যাচ্ছে। মানে বর্ষাকালে যেটা আগের লেভেলে ফিরে আসার কথা, সেটা ফিরে আসছে না। তার মধ্যে ঢাকাতে ধরেন বছরে এখন দুই মিটারের উপরে নামছে। কোথাও কোথাও এটা মিলিমিটার স্কেলে নামছে।”
সমাধান কোন পথে
আনোয়ার জাহিদ বলেন, বৃষ্টির পানি ব্যবহার করতে হবে। প্রচুর পানি অপচয় করি। এগুলো কমাতে হবে। আমাদের পানি আইনে ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে পানি বরাদ্দের জন্য কমিটি দেয়া আছে। যদিও এগুলো এখনো কার্যকর হয়নি।
তিনি বলেন, ইউনিয়ন লেভেলে যদি ধরেন, পানি বাজেট করতে হবে। একটা ইউনিয়নে কী পরিমাণ ব্যবহারযোগ্য পানি রয়েছে। বৃষ্টির পানি, নদীর পানি মাটির নিচের পানি-কী পরিমাণ আছে, এটা মূল্যায়ন করতে হবে। এর জন্য আমাদের পর্যাপ্ত ডেটা আছে। তারপর ওই ইউনিয়নে কৃষি কাজ থেকে শিল্প পর্যন্ত কী পরিমাণ চাহিদা আছে- তা জানতে হবে। তাহলে আমরা যখন বিদ্যমান সম্পদের পরিমাণ জানবো, চাহিদা জানবো। তখন কমিটি বরাদ্দ দেবে, কে কত পানি পাবে।
তিনি মনে করেন, ‘‘শিল্পগুলোর ব্যবস্থাপনাও ভালোভাবে করতে হবে। ঢাকার চারপাশে শিল্প হতে দেয়া যাবে না। যেখানে পানির প্রাপ্যতা ভালো আছে, ওইসব জায়গায় শিল্প করার অনুমতি দিতে হবে। পানির বাজেট করে হিসেব-নিকেশ করে পানির বরাদ্দ করতে হবে।”
রেজাউল মাকছুদ জাহেদী ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা লক্ষ্য করেছি, বরেন্দ্র অঞ্চলে প্রায় ৮ হাজার পুকুর রয়েছে। এর মধ্যে কিছু পুকুর আমরা সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে সাইনবোর্ড লাগিয়ে পানি সংরক্ষণ করবো বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে খাল সংরক্ষণ করতে হবে। যে খালের পানি কেবল খাবার ও গৃহস্থালি কাজে যাতে মানুষ ব্যবহার করতে পারে। এ সব জলাধারের পানি দূষিত করা যাবে না।”
রেজাউল মাকছুদ জাহেদী আরো বলেন, ‘‘আমরা প্রাকৃতিকভাবে বৃষ্টির পানি ধারণ করে এর সব এলাকায় ‘রিচার্জের’ ব্যবস্থা করবো। নদী ও খালে যেখানে মিষ্টি পানি আছে, সেখানে পাইনলাইনের মাধ্যমে পানি নিয়ে কমিউনিটিভিত্তিক পানির ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে সারা দেশের ভূগর্ভস্থ পানি ম্যাপিয়ের পদক্ষেপ নিয়েছি। পাশাপাশি কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে, কোন সংস্থা কী পদক্ষেপ নেবে, সেটাও ম্যাপিংয়ে থাকবে।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘এর আগে কোন এলাকায় সমস্যা প্রকট হলে নানা প্রকল্প নিয়ে আমরা সেটা সমাধানের চেষ্টা করছি, করবো।”
অনন্যা/এআই