অতিরিক্ত ব্যস্ততায় মস্তিষ্কের ক্ষতি করছেন না তো?
সারাদিন কাজে ডুবে থাকেন? ঘরে বসে অফিসের কাজের চিন্তা, অফিসে বসে ঘরে কি করবেন সেই চিন্তাতে বিভোর হয়ে থাকছেন? কখনো কি ভেবেছেন এই ব্যস্ততা বা অতিরিক্ত কাজের চিন্তা হতে আদতে একটি রোগের লক্ষণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যস্ত থাকা ভালো। তবে, মাথায় সারাক্ষণ কাজের চিন্তা ঘুরতে থাকলে তাকে বলা হয় ‘টাইম ফ্যামিন’।
এরকম ব্যস্ততা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। আড্ডা, বন্ধুদের সময় দেওয়া, সামাজিক নানা অনুষ্ঠানে আপনি অনুপস্থিত থাকতে থাকতে এক সময় হারিয়ে ফেলতে শুরু করবেন নিজেকে। তবে, জটিল এই পরিস্থিতিও সামলে উঠতে কিছু পরিবর্তন আনুন জীবনে।
সময়ের ছক কষে নিন
শুধু ঘুমের সময় বাদ দিলে সারাক্ষণই নাওয়া-খাওয়া ভুলে কোনও না কোনও কাজ করেই চলেছেন। শুনতে ভালো লাগলেও মস্তিষ্কের জন্য এই অভ্যাস ভাল নয়। মনোরোগ চিকিৎসকদের মতে, একঘেয়ে কাজ করতে কারও ভালো লাগে না। কাজের মাঝে-মাঝে তাই বিরতি নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। তাতে যেমন শরীরের ভালো হয়, তেমন কাজের মানও উন্নত হয়। তাই ঘরে-বাইরে নানা রকম কাজের ভিড়ে সময় কষে নিন সঠিকভাবে। নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে একটুও কাজ নয়।
উদযাপন করতে শিখুন
হাজারও ব্যস্ততার ভিড়ে অল্প সময় বের করে আনন্দ করতে শিখুন। মাঝে মাঝে কাজ থেকে ছুটি নিয়ে কোথাও ঘুরে আসুন। একেবারেই সময় না থাকলে অফিস ছুটির পর সিনেমা দেখতে কিংবা কোথাও খেতে যান। অফিসের কাজ থেকে সেরেই বাড়ির কাজে লেগে পড়বেন না। মাঝে নিজেকে একটু সময় দিন।
নিজের জন্য খরচ করুন
নিজেকে উপহার দিন। ভালো কাজ শেষে কিংবা ভীষণ পরিশ্রমের কাজ শেষ করে পছন্দের খাবারটি কিনে খান। বা চাইলে পার্লার বা সেল্যুনে বসে নিজেকে একটু বিশ্রাম দিন। একটা দিন বাস-ট্রেনের টিকিট না কেটে, গাড়ি ডেকে নিন। সর্বোপরি যত্ন নিন নিজের। আখেরে নিজেকে ভালো রাখার দায়িত্বটা আসলে নিজেরই।