Skip to content

২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গরমে রসুইঘরে নারীর সুস্থতা


গ্রীষ্মের অসহনীয় গরমে জনজীবন ওষ্ঠাগত হলেও খাওয়া-দাওয়া তো এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। এই তীব্র তাপদাহেও পেটের ক্ষুধা মেটানোর জন্য স্বাভাবিকভাবেই রান্নাঘরে ঢুকতেই হয়। রান্নাঘর যে কোনও বাড়ির গুরুত্বপূর্ণ অংশ৷ সাধারণত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাড়ির নারীদেরই রান্নাঘরের এই যন্ত্রণা সইতে হয়। তাদের রান্নাঘরে থাকতে হয় দিনের একটা বড় অংশ৷ অতিরিক্ত গরম, আর্দ্রতা এবং রান্নাঘরের তাপে গলদঘর্ম হতে হয়৷

তার ওপর রান্নাঘর মানেই চুলার উত্তাপ। আর যেহেতু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নারীরাই নিয়মিত রান্না করেন তাই তাদের গরমের কষ্টটাও তাদেরই একটু বেশি সহ্য করতে হয়।

তবে গরম সহ্য করার মানসিকতার পাশাপাশি তারা রান্নার সময় রান্না ঘরে কিভাবে সুস্থ থাকতে পারেন সে বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি। আর এই গরমে রান্না ঘরে কিভাবে সস্তি ও সুস্থ থাকা যায় সে সম্পর্কে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন গার্হস্থ ও অর্থনীতির শিক্ষক ডক্টর হালিমা ইসলাম- গরমের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে রান্নার কাজ সকাল সকাল শেষ করে নেয়া ভালো। বেলা যত বাড়বে তত বাড়বে তাপমাত্রা ও অসহনীয় আর্দ্রতা৷ তখন চুলার তাপ আর বেলার তাপ মিলে এক অসহ্য অনুভব হতে থাকে। এর ফলে অনেকে অসুস্থও হয়ে পড়েন। তাই বেলা বারার আগেই রান্না করে নিতে হবে।

গরমে কম তেলমশলার হাল্কা খাবার পরিবেশন করাটাই বুদ্ধিমানের। এছাড়া তালিকায় বেশি করে ফল, স্যালাড, হাল্কা ও সিদ্ধ করা খাবার রাখা ভালো। যত কম সময় রান্নার পিছনে ব্যয় করা যায় ততই ভালো৷

খাবার সেদ্ধ করার জন্য প্রেসার কুকার ব্যবহার করুন। এতে দ্রুত রান্না সম্ভব হবে। সবজি কাটা, মশলা তৈরি করা-সহ রান্নার একাধিক প্রস্তুতির ধাপ আগেই সেরে রাখুন৷ এতে রান্নাঘরের অতিরিক্ত গরমে বেশিক্ষণ থাকতে হবে না। রাঁধার সময় ব্যবহার করুন এগজস্ট ফ্যান৷ এতে রান্নাঘরে তেলকালি মশলা জমবে না। চটচটে হবে না দেওয়ালের টাইলস বা অন্য কোনও অংশ।

গরমে রান্নাঘর একদিকে যেমন পরিষ্কার থাকবে, আপনিও রেহাই পাবেন গলদঘর্ম হওয়ার হাত থেকে৷ রান্নার সময় প্রচুর ঘাম হয়। এজন্য অবশ্যই হাইড্রেটেড থাকুন। ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রতি ৫০০ মিলি পানিতে এক চিমটি লবণ এবং ২ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। রান্নার সময় ঢিলেঢালা, পাতলা পোশাক পরতে হবে।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ