ঈদে খরচের লাগাম টেনে ধরুন
ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি। আর সাথে একগাদা খরচ। মূলত খরচের পালা শুরু রোজার আগে থেকেই। রোজার সময় খাদ্যতালিকা থেকে শুরু করে জীবনযাপনের বিভিন্ন দিকে পরিবর্তন আসে। আর তারপরই আসে ঈদ। রোজার শুরু থেকেই ঈদের কেনাকাটার ধুম পরে যায়। উৎসবপ্রিয় বাঙালি এ সময় খরচ করতে করতে কখন যে পকেটকে গড়ের মাঠ বানিয়ে ছাড়েন তা নিজেও জানেন না। যদি আপনি পকেট গড়ের মাঠ বানাতে না চান খরচার লাগাম টেনে ধরতে হবে এখনই। উপায়-
১. ভেবেচিন্তে লিস্ট তৈরি করুন:

সবার প্রথমেই একটি লিস্ট তৈরি করতে হবে। লিস্ট ধরে কেনাকাটা করলে অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনা হবেনা। আর লিস্টে অবশ্যই যেসব জিনিস ঈদে না কিনলেই নয়, শুধু তাই রাখবেন। ঈদের সময় সবকিছুর দাম থাকে আকাশছোঁয়া। তাই এতো দাম দিয়ে অপ্রয়োজনীয় কিংবা তুলনামূলক কম প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কেনার জন্য তালিকাভুক্ত করবেন না।
২. অপ্রাসঙ্গিক জিনিস কিনবেন না:

বরাবরই শপিংমলগুলো চোখ ধাঁধানো জিনিসপত্র দিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে৷ তবে খুব পছন্দ হলেও কোনো অপ্রাসঙ্গিক জিনিস কিনবেন না৷ প্রয়োজনে মনে মনে ভেবে রাখুন ঈদের পর কিনে নেয়ার।
৩. রোজ মার্কেটে যাবেন না:

অনেকেই রোজ মার্কেটে যান অল্প অল্প করে কেনার জন্য। এতে করে আপনার অপ্রয়োজনীয় কিংবা কম প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে ফেলার সুযোগ তৈরি হয় এবং আপনি কিনেও ফেলেন কিছু বোঝার আগেই৷
৪. বাজেট অনুযায়ী পণ্য কিনুন:

ঈদে সবকিছুর দাম যেহেতু আকাশ ছোঁয়া থাকে কোনো পণ্য পছন্দ করলে তার দাম কত হবে তা আমাদের চিন্তার বাইরে থাকে। ঐদিকে আপনার পছন্দও হয়ে গেলো আবার দামও খুব চড়া। আপনি বাধ্য হয়ে পকেট ফাঁকা করে পণ্যটি কিনেই ফেললেন। এমন সমস্যা এড়াতে বাজেট অনুযায়ী কেনাকাটা করতে হবে।
ঈদ মানেই অফুরন্ত আনন্দ। তবে সে আনন্দ উদযাপন করতে গিয়ে যদি একটু হিসেব-নিকেশ না রাখেন, কখন যে আপনার পকেট গড়ের মাঠ হয়ে যাবে তা টেরও পাবেন না। ঐদিকে সে মাঠে ফুটবল খেলে যাবেন ব্যবসায়ীরা।