ঈদ শেষে খাদ্যাভ্যাসে বদল আনতে
ঈদের আগে একমাস রোজা আর ঈদের ব্যস্ত দিনে খাবারের নিয়ম অনেকটাই উলটে গেছে। ঈদ শেষে তাই স্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাসে ফিরে আসা জরুরি। কাজটি সহজ নয়। আবার স্বাভাবিক না হলেও বিপদ। ঈদের পর খাদ্যাভ্যাসে সঠিক বদলের জন্য আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদ সামরিন তাশদিক:
পানি পানেই ভরসা
ঈদের পরও গরমটা রয়ে গেছে। এই সময়ে দৈনিক আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করা জরুরি। পাশাপাশি ডাবের পানি, ফলের রস এবং স্যালাইন খাওয়া জরুরি। রাস্তায় লেবুর রস বা ফলের শরবত না খাওয়াই ভালো। এসব রসে চিনি বা অন্যান্য জিনিস থাকায় শেষে লাভ হয় না। এসব শরবত নানা শারীরিক জটিলতা তৈরি করতে পারে।
![](https://a.kha.icu/wp-content/uploads/2024/04/1D36B48C-8ED5-4554-8E54-9AA1D98D3DFB.jpeg)
মৌসুমি ফল বাদ দেবেন না
গরমে আম, জাম, তরমুজ, পেঁপে, বেল, বাঙ্গি, তালশাঁস পাওয়া যায়। এসব ফলে প্রাকৃতিক মিষ্টি ও নানা খনিজ উপাদান থাকে। যদি ফলের ফাইবার পছন্দ না হয় তাহলে চিনি না মিশিয়ে স্মুদি বানিয়ে খেতে পারেন।
মসলা জাতীয় খাবার বাদ
রোজা ও ঈদে ভাজাপোড়া ও প্রচুর মসলাজাতীয় খাবার থেকে পেটে গোলমাল, ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়া এবং হজমে সমস্যা খুব সাধারণ। এ সময় মসলাজাতীয় খাবার পরিহার করে মৌসুমি শাকসবজি, হালকা ঝোলে মাছ ও লিন মিট খেতে হবে। দুপুরে মিশ্র সবজি বা সেদ্ধ করা সবজি ও রাতে হালকা তেল-মশলায় রান্না করা সবজি ও মুরগীর মাংসের স্যুপ খেতে পারেন।
সালাদ রাখুন
দুপুর ও বিকেলের স্ন্যাকে সালাদা আইটেম রাখুন। সালাদে টক-দইয়ের ব্যবহার করা ভালো। আবার নাশতায় চিড়া ও কলা বা ওটস দিয়ে কোনো মেনু বানিয়ে নেওয়া ভালো।
![](https://a.kha.icu/wp-content/uploads/2024/04/D105430D-E48C-4912-AAFD-5B90548E8AC0.jpeg)
গরমে খাবেন সাদা ভাত
গরমে খিচুড়ি, তেলে ভাজা পরোটা বা গুরুপাক কিছুর বদলে পাতলা ডাল, ঝরঝরে সাদা ভাত, পাতলা ঝোল ও সবজি খাওয়াই সবচেয়ে ভালো। একটু বাঙালিয়ানা হলে খাদ্যাভ্যাস বদলে যাবে।
ব্যায়ামে মন দিন
ঈদ বা রোজায় যে ক্যালরি বার্ন হয়েছে তার অনুপাতেই খাবার নিন। আবার সাধারন শরীরচর্চায় মনোযোগ দিন। স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনতে হবে। ভালো খাবার খাওয়ার পাশাপাশি শরীর একটিভ রাখাও জরুরি।
![](https://a.kha.icu/wp-content/uploads/2024/04/1C11C31F-E8EC-40B0-B8DB-C5A80F1CD758.jpeg)
অভ্যাস বদল
পর্যাপ্ত ঘুম, দিনে দুবারের বেশি গোসল না করা, কোল্ডড্রিংক না খাওয়া, অতিরিক্ত না খাওয়া এসব কিছু অভ্যাস বদলে নিলে আপনাকে আর শারীরিক জটিলতায় পড়তে হবে না।