ক্যানসারের ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে যা খাবেন
সময়ের সঙ্গে আমাদের জীবনের ব্যস্ততা বাড়ছে। যে কারণে বর্তমানে আমাদের নিজেদের অজান্তেই নানা রকম অসুখ শরীরে বাসা বাঁধছে। ইদানীং মারণরোগ ক্যান্সারের প্রবণতা অনেকটা বেড়েছে। ক্যান্সারের ঝুঁকি এড়াতে জীবনযাপনে নিয়ন্ত্রণ আনা ও ক্ষতিকারক অভ্যাসগুলি থেকে সরে থাকা প্রয়োজন। তেমনই প্রতি দিনের ডায়েটে যোগ করা উচিত এমন কিছু খাবার, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ক্যান্সার প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।
তবে ডায়েটে সাধারণ কিছু পরিবর্তন আনলেই ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটা কমে যেতে পারে।
দারচিনি
রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং প্রদাহ দূর করতে দারচিনি বেশ উপকারী। এই মশলা ক্যান্সারের কোষগুলির বিস্তার ঠেকিয়ে রাখতে সাহায্য করে। শরীরের রোগ-প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করতে প্রতিদিনের খাবারে ২ থেকে ৪ গ্রাম দারচিনি রাখতে পারেন।
রসুন
সালফারে পূর্ণ অ্যালিসিন ও ডায়াল্লিল ডিসালফাইড থাকায় রসুন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। টিউমার জাতীয় অসুখের প্রবণতা কমাতে সাহায্য করে রসুন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মূত্রথলির ক্যান্সারের ঠেকাতে রসুন বেশ কার্যকর।
হলুদ
প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক হিসাবে এই মসলার জুড়ি নেই। কোলনের কোনও রকম টিউমার বা ঘা কমাতে হলুদ বিশেষ উপকারী। হলুদ কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধি কমাতে এই মশলা সাহায্য করে।
ব্রকলি
ক্যানসার প্রতিরোধের জন্য ভরসা রাখতে পারেন ব্রকলির ওপর। ব্রকলিতে সালফোরাফেন নামে একটি যৌগ থাকে, যা ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস করতে সক্ষম। কোলন, মূত্রথলি ও স্তন ক্যান্সারের ক্ষেত্রে এই সবজি বিশেষ কার্যকর।
গাজর
গাজরের মতো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট জাতীয় সবজি ফ্যাট অক্সিডেশনে বাধা দেয় ও শরীরে ক্যান্সারের কোষ উৎপাদন কমায়। গাজরের সালাদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন রান্নায় গাজর দিলে তা কোলন ক্যান্সারের ও পাকস্থলীর ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করে।