Skip to content

২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শনিবার | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাসজুড়েই ঐতিহ্যের মেলায়

চলছে পুরো দমে বসন্ত। ফাগুনের হাওয়া বইছে প্রকৃতিতে নতুন আমি যে সেজেছে প্রকৃতিতে অতিথি পাখিদের আগমন। গাছে নতুন নতুন ফুল ফোটা আমের মুকুল ধরা নানান ধরনের প্রাকৃতিকগত পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে প্রকৃতিতে।

এই মাসে একই সঙ্গে আনন্দের কাছাকাছি কিছুটা দুঃখেরও। তবে এই দুঃখের মাঝেও লুকিয়ে রয়েছে আনন্দ মাতৃভাষাকে আপন করে পাবার আনন্দ।

গোটা ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে সারা বাংলাদেশের নানান ধরনের মেলা অনুষ্ঠিত হয় বসন্ত মেলা, পিঠা মেলা, পার্বত্য মেলা, বইমেলা এবং এই বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তাই সম্পূর্ণ মাস জুড়ে বাংলাদেশের ঐতিহ্য মেলায় ঘুরে বেড়ানো যাক:

বই মেলা
মেলার মানেই মিলন। মেলা মিলিয়ে দেয় মানুষে মানুষে। এই মিলনের মাধ্যমেই আমরা চিনতে পারি মানুষ, দেশ, শিল্প, সংস্কৃতি ও সমাজকে। তবে মেলা তো নানা রকমের হয়। মেলা কখনো পণ্যের আবার জ্ঞানভাণ্ডার আহরণের। বইমেলার একেকটি স্টলে কত কত জ্ঞানভাণ্ডার রয়েছে।

মানবসভ্যতার অন্যতম প্রাণসত্তা বই। বই মানুষে মানুষে প্রীতির বন্ধন দৃঢ় করে। বই আমাদের অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যতের সেতুবন্ধ। আমাদের সুন্দর চিন্তার বিকাশ সাধনের চাবিকাঠি বই। গ্রন্থপাঠে মানুষের এক দুর্নিবার আকর্ষণ। এই আকর্ষণেই মানুষ ছুটে যায় বইমেলায়।

এবারের বইমেলায় বাংলা একাডেমি ৬৩৫ প্রতিষ্ঠানকে ৯৩৭ টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গতবছর মেলায় ৬০১ টি প্রতিষ্ঠান ছিল। সে হিসাবে প্রকাশনা সংস্থা বেড়েছে ৩৪টি। এবার বই মেলায় ৩৭টি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। ৩৬টি প্যাভিলিয়ন ৩৬টি ও বাংলা একাডেমি ১টি। বইমেলায় নান্দনিকতার ছোঁয়া দেখা যায় প্যাভিলিয়ন। ইউনেস্কো থেকে ‘ঐতিহ্যগত কারুশিল্প’তে স্বীকৃতি পাওয়া ঢাকার রিক্সা ও রিক্সা চিত্র আদলে সাজানো হয়েছে অন্যপ্রকাশ প্রকাশনী-র প্যাভিলিয়ন।
বইমেলা পরিবার, সমাজ, দেশ সারা বিশ্বের অগ্রগতির হাতিয়ার।

বাণিজ্য মেলা
বাংলাদেশের অন্যতম একটি আকর্ষণীয় মেলা হচ্ছে বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয় জানুয়ারি মাসে। তবে এবার কারণে তা অনুষ্ঠিত হয় ফেব্রুয়ারি মাসে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্র, পূর্বাচলে ২৮ তম বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়।পুরো মাস ব্যাপী হচ্ছে বাণিজ্য মেলায় সেখানে প্রায় ৩০০ডিরও বেশি স্টল রয়েছে এবং এখানে দেশ-বিদেশের অনেক স্টল রয়েছে চীন, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, ইন্ডিয়ান ও পাকিস্তান নানান ধরনের পণ্যের এক বিশাল সমাহার। বাণিজ্য মেলা সেখানে অনেক ধরনের রাইড থেকে শুরু করে খাবার দাবার নানা ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। সাথে রয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির বাড়ির মত করে সাজানো ঠিক আরও একটি বাড়ি।

পার্বত্য মেলা
প্রতিবছরে জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাসের নির্দিষ্ট একটি সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয়। পার্বত্য মেলাটি আয়োজন করা হয় ঢাকা অফিসার্স ক্লাবে। পার্বত্যদের নানান ধরনের খাদ্য এবং ঐতিহ্যবাহী পোশাক এবং নানান ধরনের ফ্যাশন অনুষঙ্গ নিয়েই তৈরি হয় এই মেলাটি। শহরে জানতে শহরে যদি পার্বত্যদের ঐতিহ্যের স্বাদ পাওয়া যায় তবে এই মেলায় ছুটে যাবে না এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া কঠিন।

বসন্ত মেলা
বসন্তকে কেন্দ্র করে ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠেছে বসন্ত মেলা। মেলাগুলো দুই থেকে তিন দিনের জন্যই হয়। সাধারণত হয় খুব ক্ষণস্থায়ী মেলাগুলো। তবে এই বসন্ত মেলার আমেজ উপভোগ করার জন্য হলেও অবশ্যই ঘুরে আসা উচিত। ঢাকা শহরে বিভিন্ন স্থানে এই মেলাটি আয়োজন করে থাকে বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা।

মেলা বাংলাদেশের ঐতিহ্য। মেলা বাংলাদেশের ইতিহাস। মেলা বাংলাদেশের একটি প্রাণ। তাই প্রত্যেকেরই উচিত যখন মেলাগুলো অনুষ্ঠিত হয় মেলায় গিয়ে ঘুরে আসার।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ