প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের কোলাজেন ধরে রাখুন
কোলাজেন ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে শরীরে কোলাজেনের পরিমাণ কমতে থাকে। ফলে আমাদের ত্বকের চামড়া ঢিলে হতে শুরু করে দেয় যা বয়সকে বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার বয়স বাড়ার এ প্রক্রিয়াকে ধীর গতির করে দেবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাংস, মাছ, মুরগি, ডিম, দুগ্ধজাত খাবার শরীরের কোলাজেন তৈরি করতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি শরীরে কোলাজেন তৈরির একটি দারুণ উৎস। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ফল, যেমন বেদানা, আমলকি, কমলা, পেঁপে, পেয়ারা, নারকেল, আম, লিচু, ড্রাগন ফল, অ্যাভাকোডা, অ্যালোভেরা, বাদাম, বীজ, সবুজ শাকসবজি, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি, হাঁড়ের স্টক, মাশরুম, সামুদ্রিক মাছ, ঝিনুকও আমাদের শরীরে কোলাজেন তৈরি করতে সাহায্য করে।
এছাড়া, অতিরিক্ত চিনি ও পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট প্রদাহ বাড়ায় যা, শরীরের কোলাজেন নষ্ট করে দেয়। অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের কোলাজেন নষ্ট করে ও ভেঙে যায়। এতে অস্বাভাবিক ইলাস্টিন গঠন করে বলিরেখার সৃষ্টি করে। বাইরে যাওয়ার আগে অবশ্যই সানব্লক ব্যবহার করতে চেষ্টা করবেন, এতে ত্বক সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করবে।
ধূমপান কোলাজেন নষ্ট করে ও নিকোটিন রক্তের নালীতে অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহকে ব্যাহত করে।
ত্বক পরিচর্চায় সঠিক প্রসাধনী ব্যবহার করা প্রয়োজন। নিয়মিত শরীরচর্চা করা বয়সের ছাপ কমায়, কোলাজেন সুরক্ষিত রাখে। হাড়, হাড়ের সংযোগ স্থল ও পেশি সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
পাশাপাশি, ত্বকে মালিশ করা কোলাজেন সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। ত্বকের তারুণ্যতা ধরে রাখে ও উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এছাড়াও নিয়মিত মালিশ পেশি সুগঠিত করে। সুগঠিত পেশি, বিশেষত মুখের ত্বকে তারুণ্য ও রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং কোষে পুষ্টি সরবরাহ করতে ভূমিকা পালন করে।