Skip to content

১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শনিবার | ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যত্নে থাকুক সম্পর্ক

একটি সুসম্পর্ক যেকোনো মানুষের সুস্থতার মূল বলা যায়। সুসম্পর্ক ব্যাক্তির পারিবারিক জীবন ও দাম্পত্য জীবনে তাকে উজ্জীবিত ও জীবনমুখী করে তোলে। তার কর্মস্পৃহা বাড়িয়ে সফলকাম করতেও সাহায্য করে।

ব্যক্তির ভালোবাসার মধ্য দিয়ে সম্পর্ক মূলত যত্নে থাকে। ভালোবাসার সম্পর্ক সবসময়ই একে-অপরকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। আর একজন আত্মবিশ্বাসী মানুষ মানসিকভাবে তৃপ্ত থাকেন। যা তার শরীর-মনের সুস্থতার কারণ।

সংসারে দু’জন দুজ’নার প্রাধান্য, যেকোনো প্রয়োজনে একে-অপরকে পাশে পাওয়ার নিশ্চয়তা যে শুধু সঙ্গীকে আনন্দ দানই করে, তা নয়, মনে জাগায় এক গভীর নিরাপত্তাবোধ।

সাহস জাগিয়ে, উদ্বেগ কমিয়ে জীবনের ছোট-বড় বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলা করতে সহায়তা করে। আর এতে শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তি থাকে। জীবন হয় সুস্থ ও সুন্দর।

এদিকে পজিটিভ সাইকোলজির প্রবক্তা মার্টিন সেলিগম্যান সুখি মানুষের যে পাঁচটি স্তম্ভের কথা বলেছেন, তার মধ্যে ‘সম্পর্ক’ অন্যতম। গুণগত জীবনযাপনের জন্য এই পাঁচটি স্তম্ভ গুরুত্বপূর্ণ হলেও অন্য গবেষণায়ও দেখা গিয়েছে, ‘ইতিবাচক সম্পর্ক’ সুখের অন্যতম প্রধান নির্ধারক।

তবে যেকোনো সম্পর্কে উত্থান-পতন থাকবেই। আর যেকোনো সুসম্পর্ক গড়ে উঠে মানুষের সঙ্গে মানুষের ভালো ব্যবহারের মধ্য দিয়ে।

অথচ বর্তমান পরিস্থিতি বিচারে মানুষকে প্রতিনিয়ত নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কেউ বাড়ি-পরিবারের সঙ্গে রয়েছেন, আবার কেউ রয়েছেন বাড়ির থেকে অনেক দূরে। কবে কখন আবার দেখা হতে পারে তা কেউ জানেন না।

এক্ষেত্রে সকলের সঙ্গে মিলেমিশে থাকা, মানিয়ে নেওয়া এবং ভালো থাকার চাবিকাঠি তো মানুষের নিজেরই হাতে। তাই দীর্ঘদিনের বৈরীতা পুষে রেখে একে-অপরের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করাই ভালো। এতে যেমন মানসিক শান্তি আসবে তেমনি সুস্থতাও বিরাজ করবে শরীর ও মনে।

কারো প্রতি কারো ইতিবাচক ভাবনা থেকে সুন্দর অনুভূতি এবং জীবনের বিভিন্ন অবস্থার সাথে খাপ খাইয়ে চলতে পারলেই তৈরি হয় সুসম্পর্ক। আর সম্পর্কের বন্ধন দৃঢ় হলে কখনোই কেউ একা ও অসহায় বোধ করবেন না অর্থাত্ মানুষের মনের চাপ কমাতে ও কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্পর্কের যত্ন নেওয়া ও সুসম্পর্ক তৈরি করা জরুরি।

দেবিকা দে

Debika Dey Srishty Junior Sub-Editor, Fortnightly Anannya

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ