Skip to content

৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নবাবগঞ্জ উপজেলা থেকে শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা পেলেন সায়মা রহমান তুলি

আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ (২৫ নভেম্বর – ১০ ডিসেম্বর ২০২৩) এবং বেগম রোকেয়া দিবস ( ৯ডিসেম্বর ২০২৩) পালন উপলক্ষে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সমগ্র দেশব্যাপী পরিচালিত ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক বিশেষ কার্যক্রমের আওতায় শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে উপজেলা পর্যায়ে নবাবগঞ্জের কন্যা সায়মা রহমান তুলিকে শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মানে ভূষিত করা হয়। সম্মাননা স্মারক ও সনদপত্র প্রদান করেন উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব নাসিরুদ্দিন ঝিলু। নবাবগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাহমুদা মান্নানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নবাবগঞ্জের নারী নেতা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

সায়মা রহমান তুলি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন বিভাগ থেকে সাফল্যের সাথে এম.এ পাশ করেন। কর্মজীবনের শুরুতে নটর ডেম কলেজে শিক্ষকতা করেন। পরবর্তীতে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যোগাযোগ পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন। বর্তমানে তিনি এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশনে, ম্যানেজার, কমিউনিকেশন এন্ড পি আর পদে কর্মরত আছেন। এছাড়া, তিনি একজন সফল সাংস্কৃতিক কর্মী, দক্ষ অনুষ্ঠান উপস্থাপিকা ও লেখক।

তিনি পেশাগত জীবনের পাশাপাশি নবাবগঞ্জ ললিতকলা একাডেমি (নাফা) এর সাধারণ সম্পাদক, নারীর ক্ষমতায়নে তিনি গড়ে তুলেছেন নিজ সংগঠন ইনভিশন একশন রিওয়ার্ড এ্যাসেট ( ইয়ারা)। বিনামূল্যে প্রশিক্ষন দিয়ে প্রতি বছর তৈরি করেন ১০ জন নারী উদ্যোক্তা।

অভিনয় ভালোবাসেন এবং থিয়েটার কে মানবিক জীবন গড়ার মাধ্যম হিসেবে বিশ্বাস করেন। তাই এ বছর প্রতিষ্ঠা করেছেন নবাবগঞ্জে নবাবগঞ্জ থিয়েটার। তুলি রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় নিবাসী ও কর্মজীবী। শুক্র শনিবার ছুটির দিনে তিনি ছুটে আসেন নবাবগঞ্জে নিজের ৩টি প্রতিষ্ঠান এর কার্যক্রম পরিচালনা করতে। শেকড়ের সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে বাংলাদেশকে তুলে ধরার স্বপ্ন দেখেন বিশ্ব দরবারে। পড়াশোনার পাশাপাশি সবাইকে সংস্কৃতিচর্চার আহবান জানান। সম্প্রতি ভারত থেকেও তিনি তার গ্রাম ভিত্তিক কার্যক্রমের জন্য সম্মাননা পেয়েছেন। তুলি তার বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। সম্মাননা পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে তুলি জানান গ্রাম থেকে কোন মেয়ের শহরে পড়াশোনা ও চাকুরী করতে যাওয়া খুব চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। লোকে নানা রকম বাজে কথা বলতো পড়াশোনা চাকুরীর জন্য সেসব কথা কে তোয়াক্কা না করে তুলি ছুটে চলেছেন তার লক্ষে। পাছে লোকে কিছু বলে এ নিয়ে ভয় থাকলে নারীরা সামনে এগুতে পারে না। সব বাধা বিপত্তি পারি দিয়ে নারীকে তার লক্ষ অর্জন করতেই হবে।

তাই তিনি এ সম্মাননা উতসর্গ করেন সেই সব ভালো মানুষদের প্রতি যারা নারীকে সম্মান করে। তিনি বলেন ঘর থেকে কন্যা কে আগে সম্মান দিতে হবে তবেই কন্যা আত্মবিশ্বাসী হবে। দেশ গড়তে নিজ অবস্থান থেকে কাজ করবেন তিনি। কেবল নিজ এলাকা নয় তিনি তার কাজ কে বিস্তৃত করতে চান দেশ বিদেশ জুড়ে। কর্মক্ষেত্রে আরো অনেক কিছু করার অপেক্ষায় আছেন।

তুলি র এ সম্মাননা প্রাপ্তিতে তার সকল শুভাকাঙ্ক্ষীরা আনন্দিত এবং গর্বিত।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ