দীপাবলিতে হোক আলোময় অন্দরমহল
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম আরেকটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান দীপাবলি। দীপাবলি মানেই প্রদীপ দিয়ে আলোকিত হয়ে উঠবে ঘর বাড়ি চারিদিক। দীপাবলি মানে আলোর উৎসব, আলোয় মেতে উঠে সারা শহর। নানান রকমের মোমবাতি প্রদীপ, আগরবাতি, রাঙ্গলি, রঙিন বাতি; সবকিছু দিয়েই অন্দরকে সেদিন সাজিয়ে তোলা হয় দীপাবলিতে।
দীপাবলিতে অন্দরকে সাজিয়ে তোলার প্রস্তুতি কেমন হবে, তা জেনে নেওয়া যাক:
সাজসজ্জার অংশ হিসেবে গাঁদা ফুল খুবই পরিচিত। গাঁদা ফুল না থাকলে কোনো পূজা, উৎসব বা এমনকি হিন্দু বিবাহের অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ বলে বিবেচিত হয় না। গাঁদা ফুলকে ‘সমষ্টির ভেষজ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। কারণ এটি বিশ্বাস করা হয় যে গন্ধে স্ট্রেস এবং নেতিবাচকতা দূর করে মেজাজ উন্নত করে। এই ফুলটি যেকোনো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অনুষ্ঠানের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এছাড়া কমলা ও হলুদ রঙকে শুভ বলে মনে করা হয়।
![](https://a.kha.icu/wp-content/uploads/2023/11/02-1024x576.jpg)
দীপাবলি হলো আলোর উৎসব। দিয়া বা প্রদীপ হল দীপাবলির একটি অন্তর্নিহিত অংশ। দিয়া বিশুদ্ধতা, সৌভাগ্য, শক্তি এবং কল্যাণের মতো উপাদানগুলোকে বোঝায়। যখন দিয়া বা প্রদীপ দিয়ে বাসস্থান আলোকিত করবেন, তখন এটি নেতিবাচক শক্তিকে দূর করে এবং মহাবিশ্ব থেকে শুধু ইতিবাচক শক্তিকে নিয়ে আসে। প্রদীপ ঘর আলোকিত করে মন্দের বিরুদ্ধে ভালোর জন্য চিরন্তন লড়াইয়ের প্রতীক। হিন্দু পুরাণ ও বিশ্বাস অনুসারে, আপনাকে ১৩টি দিয়া বা প্রদীপ জ্বালাতে হবে।
মোমবাতি দীপাবলির অন্যতম একটি প্রয়োজনীয় অংশ। মূলত প্রদীপের পরে সারা ঘরকে মোমবাতি দিয়েই সাজানো হয়। আর বর্তমান সময়ের রঙের মোমবাতির চাহিদা ব্যাপক। এছাড়া, নানান ডিজাইনের নানান রঙের মোমবাতি এখন মোটামুটি সব জায়গায় কিনতে পাওয়া যায়। তাই মোমবাতি দিয়ে সারাঘর সাজানো দীপাবলীর অন্যতম একটি সাজসজ্জার অংশ।
![](https://a.kha.icu/wp-content/uploads/2023/11/01-1024x576.jpg)
রাঙ্গলি বানানোটা দীপাবলি উৎসবের একটা প্রধান বিশেষত্ব। বিভিন্ন রঙ ও বিভিন্ন রঙের ফুল ব্যবহার করে ডিজাইন তৈরির প্রথা বহুযুগের। দীপাবলিতে ঘর সাজাতে আলপনা এখন নতুন ট্রেন্ড। তবে চালগুঁড়ো বা খড়িমাটি গোলা আলপনা নয়। বর্তমানে এরনাম‘রঙ্গোলি’, যার মূল উপকরণ রঙিন আবির। এই উৎসবে মনের রঙে ঘর ভরাতে রঙ্গোলির জুড়ি মেলা ভার। তাই মনমতো একটি নকশা এঁকে এর মধ্যে নানান রঙের আবির দিয়ে তৈরি করা হোক রঙ্গোলি।