Skip to content

৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শহরটি কতটা নারীর

‘নারীদের জন্য বিশ্বের ভয়ংকর শহরগুলো ২০১৭’ শীর্ষক জরিপ চালায় থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন।  বিশ্বে এটিই এ ধরনের প্রথম জরিপ। সামগ্রিক বিচারে নারীদের জন্য সবচেয়ে বেশি নিরাপদ শহর লন্ডন। তারপর আছে টোকিও, প্যারিস ও মস্কো। ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৬৬ শতাংশ শহরের বাসিন্দা হবে, যেখানে বর্তমানে আছে ৫৪ শতাংশ। ১ কোটির বেশি জনসংখ্যা আছে- এমন শহরের সংখ্যা ১৯৯০ সালের তুলনায় তিন গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১টিতে। জাতিসংঘের ভাষ্যমতে, ২০৩০ সাল নাগাদ এ সংখ্যা দাঁড়াবে ৪১টিতে। শহর-নগরে জীবনমানের উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচনের সুযোগ থাকলেও দ্রুত বর্ধমান নগরায়নের পরিপ্রেক্ষিতে সবার জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে না পারলে অনেক সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ দেখা দেবে। বিষয়টি মাথায় রেখে বড় বড় শহরে নারীদের কী পরিস্থিতি, তার সন্ধান করার চেষ্টা করা হয়েছে এই জরিপে। ক্ষতিকর সংস্কৃতি বা কুসংস্কারের হাত থেকে নারীরা সুরক্ষিত কিনা- নারীদের যৌনাঙ্গ নষ্ট, মেয়েদের অল্প বয়সে বা জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়া ও কন্যা-শিশুদের হত্যা করা হয় কিনা- এ প্রসঙ্গে জরিপে যে চিত্র উঠে এসেছে, তা খুবই ভয়াবহ। এ বিষয়ে ঢাকার অবস্থান ছিল তৃতীয়। অবশ্য স্বাস্থ্যসেবা-প্রাপ্তির দিক থেকে রাজধানীতে নারীর সুযোগ-সুবিধা কিছুটা ভালো বলেই ওই জরিপে দেখা গিয়েছিল। এরপর সময় বয়ে গেছে। ঢাকায় নারীর নিরাপত্তার অবস্থা হয়েছে আরও নাজুক।

করোনা মহামারিকালে ঘরে-বাইরে নারীকে সহিংসতা ও নির্যাতনের মুখোমুখি হতে হয়েছে। করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং সর্বশেষ বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি জনজীবনে নানা পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। এই পরিবর্তনে সামাজিকতা রক্ষা করাই এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। নারীকে ঘরে-বাইরে দুদিক সামলে এগিয়ে যেতে হচ্ছে। এতকিছুর পরও রাজধানী কতটা নিরাপদ হয়েছে? বিগত এক দশকে অবকাঠামোর উন্নয়ন হয়েছে অনেক। দেশ মেট্রোরেলের যুগে প্রবেশ করেছে। চালু হয়েছে  এক্সপ্রেসওয়ে। সড়ক ও যোগাযোগব্যবস্থার নানা উন্নতি হয়েছে। তারপরও নিরাপদ গণপরিবহন চালু করা সম্ভব হয়নি। নারীদের প্রতি সহিংসতার আলামত ঘরের ভেতরে জরিপ করে অনুসন্ধান করা কঠিন। কিন্তু গণপরিবহনের মাধ্যমে রাজধানীতে নারী কতটা নিরাপদ তার একটি চিত্র আমরা ঠিকই অনুসন্ধান করে জানতে পারি। বাসে নারীদের প্রায় ৪৫ ভাগই যৌন হয়রানির শিকার হন বলে ২০২২ সালে এক জরিপে জানিয়েছে আচল ফাউন্ডেশন নামের একটি সংস্থা। জানা গেছে, হয়রানির শিকার বেশিরভাগ নারীই আবার নীরবে সয়ে যান পুরো ঘটনা। আবার কেউ কেউ মুখের ওপর করে বসেন প্রতিবাদ। সংস্থাটির জরিপে আরও জানা যায়, ফেসবুকে যত নারীকে হয়রানি করা হয়, তার চেয়েও বেশি নারী হেনস্থার শিকার হয় গণপরিবহনে। ৪৫ শতাংশের যে সংখ্যাটা তাদের মধ্যে প্রায় ৬৫ শতাংশ তরুণী জানিয়েছেন, তারা আপত্তিকর স্পর্শের শিকার হয়েছেন যখন তারা গণপরিবহনে যাতায়াত করেন। এছাড়া যানবাহনে চলার সময়ে কুদৃষ্টির মাধ্যমে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন প্রায় ২০ দশমিক ৪ শতাংশ তরুণী।

যৌন নিপীড়নকারী ব্যক্তিদের মধ্যে যাত্রীর সংখ্যাই বেশি। গণপরিবহনের চালক ও চালকের সহকারীর হাতেও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন অনেকে। নিপীড়নকারী ব্যক্তিদের মধ্যে ৪০ বছরের বেশি বয়সীদের সংখ্যা বেশি। যৌন নিপীড়নের শিকার নারীদের ৭৫ শতাংশ জানিয়েছেন, তাদেরকে অন্য যাত্রীদের মাধ্যমে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। ২০ দশমিক ৪ শতাংশ জানিয়েছেন, তাদেরকে হেল্পার কর্তৃক এই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এ ছাড়াও, ৩ শতাংশ হকারের মাধ্যমে এবং ১ দশমিক ৬ শতাংশ ড্রাইভারের মাধ্যমে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে সমীক্ষায় উঠে এসেছে। গণপরিবহনকে অনিরাপদ করে তোলার পিছনে সবচেয়ে বড় নিয়ামক হলেন সাধারণ যাত্রীরা। কারা বেশি যৌন হয়রানি করছে, এই প্রশ্নের উত্তরে দেখা গেছে, ৬১ দশমিক ৭ শতাংশ কিশোরী ও তরুণী জানিয়েছেন যে, তারা ৪০ থেকে ৫৯ বছর বয়সীদের দ্বারা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। অন্যদিকে, ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ জানিয়েছেন যে, তারা কিশোর ও যুবক অর্থাৎ ১৩ থেকে ৩৯ বছর বয়সীদের মাধ্যমে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। নিপীড়নের ক্ষেত্রে মধ্যবয়সীরা এগিয়ে থাকলেও কিশোর তরুণদের মাধ্যমে এই হার কম নয়।

গণপরিবহনে কিশোরী ও তরুণীদের অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ দশমিক ৯ শতাংশ জানিয়েছেন, বাসে ওঠা-নামার সময় অসম্মতি থাকা সত্ত্বেও হেল্পাররা স্পর্শ করেছেন। ২৪ দশমিক ৬ শতাংশ নারী জানিয়েছেন, তাদেরকে গত ৬ মাসে অন্তত ৩ বার এই ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শের ভুক্তভোগী হতে হয়েছে। নারী যাত্রীদের উঠানোর ক্ষেত্রে হেল্পারদের বাস থেকে নেমে যাওয়া আবশ্যক হলেও তাদের মাধ্যমে হয়রানির শিকার হওয়ার প্রবণতা ক্রমবর্ধমান।

২০২২ ছিল নারীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জের বছর। সংবাদমাধ্যমে প্রতিনিয়ত নারী নির্যাতন, নারীর ওপর সহিংসতা ও ধর্ষণের খবর পাওয়া গেছে। এমনকি বেশ কয়েকটি গবেষণা পর্যবেক্ষণের সমীক্ষা থেকেও নারীর নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কাজনক চিত্র দেখতে পেয়েছি।

ধর্ষণের জন্য কঠোর আইন প্রণয়ন হলেও ধর্ষণ থামেনি। প্রতিবন্ধী শিশুও ধর্ষিত হয়েছে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক, ৯৯৯ অভিযোগ কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় ৯৯৯-এ নারী নির্যাতনের অভিযোগ বেড়েছে। নারী নির্যাতনের শিকার হচ্ছে নিজ ঘরে। পরিসংখ্যানে জানা গেছে, ওই বছরের আগস্ট পর্যন্ত এ ধরনের কল এসেছে ১৩ হাজার ৪১৬টি, যেখানে ২০২১ সালে পুরো বছর মিলে এমন কলের সংখ্যা ছিল ১২ হাজার ১৬৯। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে যে ধরনের ফোন আসে, সেই তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়–নারীর ওপর নিপীড়ন আর সহিংসতার অভিযোগ জানাতে বা সাহায্য চেয়ে ফোনকলের সংখ্যা অতীতের যেকোনো সময়ের থেকে অনেক বেড়েছে। যদিও বিষয়টিকে অনেকে ইতিবাচকভাবে দেখতে চাচ্ছেন। অনেকে মনে করছেন, আইনের প্রতি নারীদের আস্থা বাড়ছে বলেই তারা ৯৯৯-এ অভিযোগ জানাচ্ছেন। কিন্তু মুদ্রার ওপীঠের মতোই বলতে হয়, নারীর প্রতি সহিংসতাও বেড়ে চলেছে।

ঢাকা শহরে বাস-মিনিবাসে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন থাকার পরও তারা হয়রানির শিকার হচ্ছে কেবল সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে। অথচ ২০০৮ সালেই ঢাকার বড় বাসে ৯টি আর মিনিবাসে ছয়টি আসন নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষণের শর্ত দিয়েছিল ঢাকা মহানগর পরিবহন কমিটি (ঢাকা মেট্রো আরটিসি)। ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৭’ খসড়ার নীতিগত অনুমোদনও দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আইনে মহিলা, শিশু, বয়োজ্যেষ্ঠ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত আসনে অন্য কোনো যাত্রী বসলে বা বসার অনুমতি দিলে সর্বোচ্চ এক মাসের জেল বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। আর রুট পারমিটে শর্ত হিসেবে নারীদের জন্য আসন সংরক্ষিত রাখতে বলা হয়েছে চালকের পেছনে। রুট পারমিটের শর্ত ভাংলে চলাচলের অনুমতি বাতিলের এখতিয়ারও আছে পরিবহন কমিটির। এত কিছুর পরও গণপরিবহনে নারীদের হয়রানি সীমাহীন। যাত্রীর অধিকার সংরক্ষণে সরকার যে আইনের খসড়া অনুমোদন করেছে, তা অত্যন্ত প্রশংসাযোগ্য। দ্রুত এ আইনের বাস্তবায়ন হলে নারীরা নিরাপদে চলাচলের সুযোগ পাবে। ডিএমপি অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে। অভিযোগ ব্যতীত কারও বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। দেখা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নারীরা সে অভিযোগও করেন না।

নারীদের জন্য ঢাকায় বিআরটিসির ১২টি বিশেষ বাস ‘বিআরটিসি মহিলা সার্ভিস’ পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম চালু হয় ১৯৯৮ সালে। ২০০১ সালে তা ঢাকা ও এর আশেপাশের এলাকায় সম্প্রসারণ করা হয়। ২০০৯ সালে আবার এ সেবাকে পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ নেয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়; কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। নিরাপত্তার অভাব, আর্থিক অসচ্ছলতা ও পরিবহনস্বল্পতার কারণে বেশিরভাগ নারী-পোশাককর্মী হেঁটে কর্মস্থলে যাতায়াত করেন। আবার গণপরিবহনে বিরূপ পরিস্থিতির কারণেও বাধ্য হয়ে বিকল্প বাহনে যাতায়াত করে অনেক নারী। এতে তাদের আয়ের একটা বড় অংশই চলে যায় পথখরচায়।কিন্তু সেখানেও কি তারা নিরাপদ? নারীকে কাজ শেষে ফিরতে হয় রাতে। রাতে সড়কের অনেক স্থানেই আলোর অভাবে নারীকে হেনস্থার শিকার হতে হয়। লোকসম্মুখে অনেক সময় উর্দিপরা বাহিনীর সদস্য বলেও অনেক সময় নারীদের হেনস্থা করার নানা ঘটনা সংবাদমাধ্যমে পাওয়া গেছে। নারী শুধু সামাজিক পর্যায়ে নিরাপত্তার অভাবে ভুগছে তা নয়। নারীকে অর্থনৈতিকভাবেও নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

রাজধানীতে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে কথা হয়েছে বিস্তর। কিন্তু কাজ হয়নি ততটা। বরং নারীর নিরাপত্তাঝুঁকি বেড়েছে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও তা এখনও জনসংবেদনশীল হয়ে ওঠেনি। নানা সমীক্ষায় দেখা গেছে, নারীর স্বাস্থ্যখাতে সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে। বেসরকারি হাসপাতালে সে সুযোগ সুবিধা বাড়লেও বৃহৎ পরিসরে বাড়েনি। নারীর নিরাপত্তা বলতে চলাচলের স্বাধীনতাই শুধু নয়। নারীর স্বাস্থ্য, শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়ের নিরাপত্তাও এরসঙ্গে জড়িত। নারীর বিষয়টি আলাদা দৃষ্টি পাওয়ার মূল কারণ আমাদের সংস্কৃতিতে নারীর নিঃসঙ্গ অবস্থানকে বিবেচনা করতে হবে। দেশে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও রাজধানীতে ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাব এখনও রয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এখন প্রাথমিক শিক্ষা সহজলভ্য। কিন্তু ঢাকায় এ রকম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাব রয়েছে। মানসম্পন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে মেয়ে সন্তানকে পড়ানোর মতো সক্ষমতাও অনেকের নেই। ইতোমধ্যে ঢাকায় অল্পবয়সী অনেক মেয়েকে দেখা যায় ভিক্ষা করতে। অর্থাৎ নিম্নবিত্ত পরিবারের অনেক মেয়ে এখন শিক্ষার সঙ্গেও সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ কম পাচ্ছে। ফলে সামাজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তাদের সচেতন অবস্থান প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছে নানাভাবে। স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রেও দেশের সব নারী বেসরকারি হাসপাতালের শরণাপন্ন হতে পারেন না। আর হলেও অনেক সময় ভুল চিকিৎসায় অনেক নারীর প্রাণ ঝুঁকির মুখে পড়ে-এও একটি বাস্তবতা।
সব মিলিয়ে রাজধানীতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও তা সুসমন্বিত হয়নি। গণপরিবহন নারীবান্ধব করার লক্ষ্যে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হলেও তা গুটিকয়েক যানে। অধিকাংশ যানের যেখানে ফিটনেস নেই সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরার প্রত্যাশাও ভুল। গণপরিবহনে নারীর জন্য পৃথক যানের ব্যবস্থা কিংবা নারী সংবেদনশীল অবকাঠামোর অভাব নারীর চলাচলকে বিঘ্নিত করছে। ফলে নারী তার পূর্ণ বিকাশের সম্ভাবনার সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। এসব সংকটই বাড়িয়ে তুলেছে সমস্যা। নারীর অর্থনৈতিক, সামাজিক মুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য পরিকল্পনা ও এখনো নগরায়ন পরিকল্পনা কর্মসূচি জরুরি। বৈশ্বিক সংকটের পাশাপাশি নারীকে এখন আরও অনেক সংকটের মুখোমুখি হতে হয়। নারীকে ভাবতে হয় পরিবারের খরচের কথা, নিজের কর্মসংস্থানের কথা এবং মাসশেষে সমন্বয়ের কথা। কিন্তু নারীর এই অর্থনৈতিক সংগ্রামের সঙ্গে উদ্বেগের সংগ্রামের জন্য অতি দ্রুত নারী সংবেদনশীল কাঠামো গড়ে তুলতে হবে।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ