সঠিক উপায়ে পোশাক সংরক্ষণ করুন
সকালে উঠে কাজে যাওয়ার সময় কিংবা সন্ধ্যায় কোনে অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় সবচেয়ে প্রয়োজন হয় আলমারি খোলার। কিন্তু সে আলমারি খুলে যদি দেখা যায়, বেহাল অবস্থা; তাহলে কী হবে!
এদিকে জামা তো, ঐদিকে সালোয়ার; আরেকদিকে ওড়না; কোনটা কোন দিকে ছড়িয়ে ছড়িয়ে আছে তা খুঁজতেই সময় চলে যায় প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট। এছাড়া ইস্ত্রি করা পোশাক কুঁচকে থাকে শুধু সংরক্ষণ করার অভাবে।
তাহলে উপায় কী? কিভাবে পোশাক সংরক্ষণ করতে হবে? কোথায় কোন পোশাক রাখতে হবে? কিভাবে সহজেই পোশাক পাওয়া যাবে? এসব বিষয়ে কিছু সহজ উপায় বলে নেওয়া যাক।
• আলমারি জামা-কাপড়গুলোকে কয়েক ভাগে ভাগ করে নিতে হবে।
• প্রতিদিনের পরা কাপড়গুলো কিংবা একই ধরনের কাপড়ের জামাগুলো আলমারির এক সাইডে একসঙ্গে রাখতে হবে।
• দামি জামাগুলো একটি প্লাস্টিকের প্যাকেট ভরে ভাগে ভাগে রেখে দিতে হবে।
• শাড়িগুলো হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখতে হবে।
• পেটিকোট ও ব্লাউজগুলো আলাদা একটা সেকশনে রাখতে হবে।
• এছাড়া, থ্রি পিস এবং কুর্তি এই দুটো একই সেকশনে দুই ভাগ করে রাখলে সহজে খুঁজে পাওয়া যাবে।
মাসে একবার আলমারি ও ওয়ার্ডড্রপের সব কাপড় রোদে দেওয়া উচিত। তবে কাপড় সরাসরি রোদে দেওয়া যাবে না, অবশ্যই উল্টে দিতে হবে। সরাসরি রোদে দেওয়ার চেয়ে যে জায়গায় রোদের তাপ আসছে, সেখানে কাপড় দেওয়া ভালো। দামি, সংবেদনশীল ও জমকালো পোশাকের ওপরে অন্য একটি পাতলা কাপড় দিয়ে নিতে পারেন। তবে বর্ষাকালে যেহেতু রোদ পাওয়া যায় না, সেহেতু পোশাকগুলো বের করে একটু ঝেড়ে রাখা ভালো। এমন অভ্যাস থাকলে আসবাবের স্থায়িত্বও বাড়ে, পোশাকও ভালো থাকে।
এছাড়া, আলমারির বা ওয়ারড্রপের কাপড়গুলো যখন রোদে দেওয়া হবে তখন একটি শুকনা কাপড় দিয়ে আলমারির ভেতরটা ভালো করে বুঝে নিতে হবে এবং পুরনো পেপার কিংবা ক্যালেন্ডারের পাতা বিছিয়ে নিতে হবে তাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ন্যাপথালিন ছিটিয়ে রাখতে হবে।
এছাড়া, একটি জামা দুই থেকে তিনবার পড়ার পরে ধুয়ে ফেলুন। তারপর ভাজ করে আলমারিতে রাখুন। এছাড়া সব জামা যদি ধোয়া সম্ভব না হয় হালকা রোদে দিয়ে ভাঁজ করে আলমারিতে রেখে দিন। এভাবে পোশাকগুলো সংরক্ষণ করলে একটি পোশাক দীর্ঘদিন পরা যায়। এতে অর্থের অপচয় কম হয়।