শোক থেকে হোক শক্তি-ভৈরবী
বর্তমানে সারাদেশে আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে ডেঙ্গু। প্রতিনিয়তই বেড়ে চলেছে এর প্রকোপ। রুখে দাঁড়াতে কাজ করে যাচ্ছেন সরকার এবং দায়িত্বরত ব্যক্তিবর্গ। সাধারণ জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে কাজ করে যাচ্ছে বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ। এবার এই প্রচেষ্টায় ব্যতিক্রম এক আয়োজন নিয়ে যুক্ত হলো দেশীয় সংস্কৃতি গবেষণা এবং গীতরঙ্গ পরিবেশনা কেন্দ্র “ভৈরবী”।
![](https://a.kha.icu/wp-content/uploads/2023/08/366779204_808588504069289_3016273489722801730_n-1024x683.jpg)
জাতীয় শোক দিবসে ” শোক থেকে হোক শক্তি “এই স্লোগানকে মাথায় রেখে দেশের মানুষের জন্য ভৈরবী’র এই নিবেদন।
ভৈরবী’র প্রতিষ্ঠাতা এবং কার্য নির্বাহী প্রধান ইলিয়াস নবী ফয়সালের রচনা এবং নির্দেশনায় ভৈরবী গীতরঙ্গ দলের পরিবেশনায় “মশাকথন” নামক পথনাটকের আয়োজন করা হয়। চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতির বিরুদ্ধে প্রতিকার গড়ে তোলা এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করাই ছিলো যার মূল উদ্দেশ্যে। গত ১৫ই আগস্ট ২০২৩ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণ, পায়রা চত্তর, টিএসসি এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এই পথনাটকটি উপস্থাপন করা হয়। নাটকের সংলাপের মাধ্যমে ডেঙ্গু মোকাবেলার বিভিন্ন প্রতিকার, প্রতিষেধক এবং প্রতিরোধের উপায় সাধারণ জনগণের সম্মুখে তুলে ধরা হয়।
![](https://a.kha.icu/wp-content/uploads/2023/08/366773009_822219926008657_2213033939484261389_n-1024x698.jpg)
এই বিষয়ে ভৈরবী’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহীদুজ্জামান খান শাহী জানিয়েছেন, “পূর্বেও বিভিন্ন সময় আমরা ডেঙ্গুর প্রকোপের সম্মুখীন হয়েছি তবে বিগত বছরের তুলনায় বর্তমান সংকট আশঙ্কাজনক। ভৈরবী দেশের জন্য কাজ করে, দেশের মানুষের জন্য কাজ করে। আমরা আমাদের স্থান থেকে চেষ্টা করেছি জনসচেতনতামূলক একটি আয়োজন উপস্থাপন করতে। আশা করছি এতে করে আমরা দেশীয় স্বার্থে ভূমিকা রাখতে পেরেছি।”
পথনাটকটির রচয়িতা এবং নির্দেশক ইলিয়াস নবী ফয়সাল যিনি একই সাথে ভৈরবী’র প্রতিষ্ঠাতা এবং কার্য নির্বাহী প্রধান জানিয়েছেন, “দেশের চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলার স্বার্থে আমাদের সকলের উচিৎ এগিয়ে আসা। সচেতনতা বৃদ্ধি ছাড়া এই কঠিন সময়কাল অতিক্রম করা কষ্টসাধ্য। আশা করছি আমরা এভাবেই আগামী দিন গুলোতে দেশের জন্য কাজ করতে পারবো। আমরা বিশ্বাস করি সম্মিলিত প্রয়াসে সকল বাঁধা পেরনো সম্ভব।”
উল্লেখ্য, দেশের হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি রক্ষার্থে এবং প্রচারে কাজ করে যাচ্ছে ভৈরবী। মূলত তরুণ প্রজন্মের হাত ধরেই দেশীয় সংস্কৃতি সত্ত্বা বাঁচিয়ে রাখা এবং প্রচার-প্রসারেই বিগত তিন বছর ধরে তারা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।