তারকাদের ফ্যাশন ও উঠতি বয়সীদের ওপর এর প্রভাব
তারকা মানেই তাদের অনেক ভক্ত। সাধারণ নারীরা তারকাদের পোশাক থেকে সাজসজ্জা; সবকিছু অনুসরণ করতে চান ও করে থাকেন। কিন্তু কতটুকু সুফল বয়ে আনে এই অনুসরণরীতি? উঠতি বয়সের মেয়েদের ওপর এর প্রভাব কতখানি?
তারকারা কেবল তাদের জনপ্রিয়তার মাধ্যমে ফ্যাশনকে প্রভাবিত করেন না, বরং নতুন ফ্যাশনও তৈরি করেন। তাদের দেখাদেখি অন্যরা নতুন নতুন ফ্যাশন তৈরির প্রেরণা বা প্রবণতা তৈরি করেন। সম্প্রতি শেষ হলো চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম বড় উৎসব ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’। বরাবরের মতোই বলিউডের একঝাঁক তারকা অংশ নিয়েছেন এই উৎসবে। কানের লাল গালিচায় ক্যামেরার সামনে ধরা দিয়েছেন নানা ফ্যাশনে। কিন্তু, ফ্যাশনের জন্যই সমালোচিত হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী উর্বশী রাউটেলা। কাঁধখোলা গাউনের সঙ্গে গলায় পরেছেন টিকটিকির আদলে তৈরি নেকপিস।
ফ্যাশনের জন্য বরাবরই সমালোচনার তালিকায় থাকেন তারকারা। আগেই বলেছি, তাদের সেই ফ্যাশন অনুসরণ করেন উঠতি বয়সের তরুণীরা। এমনকি ছোট পর্দার অভিনেত্রীদের পরা পোশাক বাজারে সেই নামে বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। ওই ড্রেস না কিনতে পেরে অনেক তরুণী আত্মহত্যাও করে। অনেকে বাবা-মায়ের থেকে জোর করে আদায় করে নেয় এসব ড্রেস।
নারী বা তরুণীরা তারকাদের ফ্যাশন অনুসরণ করুক। কিন্তু আয়ত্তের বাইরে গিয়ে নয়। তবে, যতটুকু সম্ভব তারকাদের ফ্যাশন অনুসরণ করা থেকে বিরত থাকা উচিত। নারীকে তার স্বকীয়তা বজায় রেখে চলতে হবে। তারকারা নিজেদের আলোচনায় রাখতে মাঝে মাঝে উদ্ভট কর্মকাণ্ডও করে বসেন। তাদের ভালো দিক অনুসরণ করা যায়। কিন্তু জেনে শুনে মন্দটা কেন গ্রহণ করতে হবে?
বেশ কয়েক বছর আগে ‘পাখি ড্রেস না কিনতে পারায় তরুণীর আত্মহত্যা’ শিরোনামে অনেক সংবাদ দেখা যেতো পত্রিকার পাতায়। এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে তারকাদের জীবনযাত্রা খুব সহজেই অনুসরণ করতে পারেন ভক্তরা। ফেসবুক, ইন্সটাগ্রামে ভক্তদের জন্য নিয়মিত ছবি বা ভিডিও আপলোড করেন তারকারা। আর সেখানে তরুণীরা পেয়ে যান পছন্দের তারকার ফ্যাশন আইডিয়া। ওই তারকা কি রঙের পোশাক পরেছেন, কোন ধরনের নেকপিস পরেছেন, কোন ইয়ারিং পরেছেন; এসব নিয়েই চলে তরুণীদের গবেষণা।
তারকাদের ফ্যাশন উঠতি বয়সী তরুণীদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এই ট্রেন্ড থেকে তরুণীদের বের হয়ে আসা উচিত। নিজের সংস্কার, নিজের ঐতিহ্য, নিজের সংস্কৃতি ধরে রাখা উচিত। তারকাদের অসাধারণ জীবন, অঢেল টাকা। কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষ। তাই সাধারণ জীবনযাপন করার চেষ্টা করা উচিত। অনুসরণ রীতি থেকে নিজেদের মুক্তি দেওয়া উচিত।