বাহারি টিপ
টিপ পরার প্রচলন বহু কাল আগে থেকে চলে এসেছে। কালের পরিক্রমায় সাজসজ্জার অনুষঙ্গ হিসেবে টিপ এখন খুবই জনপ্রিয়। বিশেষ করে অনুষ্ঠান, বিয়ে-বাড়ি দাওয়াতের সাজের পূর্ণতা আসে না ততক্ষণ পর্যন্ত, যতক্ষণ পর্যন্ত না কপালে একটা টিপ থাকে। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি, টি-শার্ট সবকিছুর সঙ্গেই টিপ মানিয়ে যায়। আর না মানালেও মানিয়ে নিয়েছে নারীরা। চেহারায় কোনো সাজ নেই, কিন্তু আছে কপালে একটা টিপ। সৌন্দর্য বেড়ে যায় দ্বিগুণ।
ছোট, বড়, মাঝারি কিংবা বিভিন্ন ধরনের ডিজাইনের টিপ, যার যেটা পছন্দ, নারীরা টিপ পরতে ভালোবাসে। তবে নারীরা যে শুধু কেবল অনুষ্ঠানে টিপ পরে, তা নয়। বর্তমান সময়ে অনেক নারীদের সাজসজ্জার প্রতিদিনের অনুষঙ্গ হিসেবে টিপ সবার প্রথমে।
টিপ মানে যে শুধু গোল হবে, তা কিন্তু নয়। টিপে এখন এসেছে বাহারি ডিজাইন। অনেক ধরনের রংঢং। যেমন গোলাকার, ত্রিকোণাকার, লম্বাটে, চারকোনা, ফুলের পাপড়ি, পাতা, ফুল এ ধরনের টিপ দেখা যাচ্ছে।
এছাড়া একরঙা টিপের ওপর নানা ধরনের ডিজাইনও করা থাকে। যেমন, পুতি, পাথর, কলকী, অর্ধচাঁদ, রঙতুলি দিয়ে টিপের ওপর ডিজাইনের বাহার জুড়ে দেওয়া হয়েছে টিপে।
তবে বাহারি টিপগুলো কখন পরা হয়। বাহারি টিপগুলো কেবল বাহারি সময় পরা হয়। প্রতিদিনের জন্য কখনোই কেউ এই ধরনের টি পরে না। যারা প্রতিদিন টিপ পরে, তারা সেই ক্ষেত্রে সাধারণ যে টিপগুলো বাজারে পাওয়া যায়, সেগুলোই পরে থাকে। কিন্তু এই বাহারি টিপগুলো বিভিন্ন অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সামাজিক অনুষ্ঠান কিংবা দেশীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান, যেমন, পহেলা বৈশাখ, ২৫ শে বৈশাখ, ১৬ ডিসেম্বরের উৎসবগুলোতে কপালে বেশি দেখা যায়। তবে ড্রেসের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অনেকেই ঘুরতে গেলে বাহারি টিপ কপালে পরে থাকে।
বাহারি টিপগুলো মূলত অনলাইনে বেশি পাওয়া যায়। নতুন প্রজন্মের কাছে বাহারি টিপ তৈরি করা একটা নতুন উদ্যোগ। উদ্যোগ থেকে সে তার একটা আয়ের উৎসও খুঁজে পায়। অনলাইনে এই ধরনের টিপের সমাহার বেশি দেখা যায়। দামও সহজলভ্য। ২০-২০০ টাকার মধ্যে এইসব টিপ পাওয়া যায়। উপহার স্বরূপ কাছের মানুষদের এই টিপগুলো উপহার দেওয়া যায়।
টিপ অবশ্যই যত্ন করে পরবেন। যাতে একাধিকবার ব্যবহার করা যায়। এছাড়া আলগা টিপের আঠা কিনে নিতে পারেন। যেন আঠা হালকা হয়ে গেলে সেই আঠা লাগিয়ে কপালে পুনরায় সেটি পরা যায়।
অনন্যা/ ডিডি