স্মার্টফোন ব্যবহারে স্মার্ট হতে শিখুন !
আধুনিক এক বিশ্বে বসবাস করছি আমরা। সেখানে ‘স্মার্টফোন’ নামক বস্তুটি আপনার হাতে না থাকলে আপনি খুব সহজেই পেয়ে যাবেন আনস্মার্টের তকমা। আজকাল ছোটো-বড় সবার হাতের মুঠোয় স্মার্টফোন থাকা বাধ্যতামূলক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু একবারও কি ভেবে দেখেছেন স্মার্টফোনকে আপনি ঠিক কিভাবে ব্যবহার করছেন?
নতুন স্মার্টফোন নিয়েছেন। হঠাৎই মনে হলো, পরিচিত বা অপরিচিত কাউকে কিছুক্ষণ বিরক্ত করা যাক। ঘণ্টার পর ঘণ্টা, দিনের পর দিন নিখুঁতভাবে চালিয়ে গেলেন এই কাজটি। সোশ্যাল মিডিয়ায় যখন খুশি যেমন খুশি একটি ছবি আপলোড করে দিলেন, সাথে এমন কিছু ক্যাপশন যা আপনার ইমেজ নষ্ট করে দিতে পারে সবার কাছে, কারো ইনবক্সে গিয়ে হয়রানিমূলক বার্তা প্রদান করলেন।
এসব ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে। স্মার্টফোন ব্যবহার আমাদের জীবনকে নিঃসন্দেহে অনেকটা সহজ করেছে। জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। আমরা স্মার্টফোন ব্যবহারের সুফল যেমন ভোগ করছি সেই সাথে যেন পাল্লা দিয়ে শিখছি স্মার্টফোনের অপব্যবহার।
স্মার্টফোনকে ঘিরে দিনের পর দিন বেড়েই চলছে অন্যায়। আপনি আপনার স্মার্টফোন কিভাবে ব্যবহার করছেন তার উপর নির্ভর করে আপনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করা হয়। স্মার্টফোনের মাধ্যমে আপনি আপনার ইচ্ছে বা পছন্দের বিষয়টি প্রকাশ করেন। আমরা বাস্তবে সামনাসামনি যা প্রকাশ করতে না পারি স্মার্টফোনের মাধ্যম তা ঠিকই প্রকাশ করছি। মোদ্দাকথা আপনি আপনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে মানুষকে একটি অলিখিত সার্টিফিকেট দেখাচ্ছেন।
আপনি আপনার স্মার্টফোনে কোন কোন অ্যাপ ব্যবহার করছেন, আপনি কোন বিষয়গুলো সার্চ করছেন, সামাজিক মাধ্যমে কোন বিষয়ে মন্তব্য করছেন এ সবকিছু আপনার দর্পণ হিসেবে কাজ করছে। আপনি হয়তো এই ব্যবহারগুলোকে স্মার্টনেস মনে করতে পারেন তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এরূপ ব্যবহার সামনের মানুষটির কাছে আপনার একটি নেতিবাচক ইমেজ তৈরি করে দেয়।
সমাজে চলার জন্য আমরা অনেক ধরনের নীতিমালা অনুসরণ করে থাকি। আধুনিক সমাজে প্রতিনিয়তই আমরা চেষ্টা করছি কে বেশি স্মার্ট হতে পারি। তবে আমরা ভুলে যাই স্মার্টনেস মানে শুধু আইফোনের লেটেস্ট মডেল ব্যবহার নয়, ফোনটি ব্যবহারের জন্যও কিছু নীতি মেনে চলা। আপনি গলা ফুলিয়ে বলতেই পারেন, ‘মগের মুল্লুক নাকি, আমার টাকার ফোন আমি যেভাবে খুশি ব্যবহার করবো!’ তবে এর প্রতিউত্তরে বলবো, স্মার্টফোন ব্যবহার করে স্মার্ট হতে শিখলেন কই?