Skip to content

১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে এখনো পিছিয়ে নারীরা


অনেক ক্ষেত্রে অগ্রগতি হলেও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে দেশের নারীরা এখনো পিছিয়ে রয়েছেন বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনরা। তাদের মতে, যে পদ্ধতিতে (সংরক্ষিত আসন) জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকারে নারীদের স্থান দেওয়া হয়, তা সঠিক নয়’। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ মিলনায়তনে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে নারীদের এগিয়ে নিতে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য দৈনিক ইত্তেফাক ও পাক্ষিক অনন্যা সম্পাদক তাসমিমা হোসেন এবং প্রতিবন্ধীদের অধিকার আদায়ে কর্মরত সাবরিনা সুলতানাকে সম্মাননা দেওয়া হয়।

শুরুতে বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন করেন জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি এবং কান্ট্রি ডিরেক্টর ও দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘চলমান পদ্ধতি বদলালে সত্যিকার অর্থে নারীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন হবে। রাষ্ট্রীয় নীতি প্রণয়নে ভূমিকা রাখতে পারলে পরিপূর্ণ অগ্রগতি হবে নারীদের।’

দৈনিক ইত্তেফাক ও অনন্যা সম্পাদপক তাসমিমা হোসেন বলেন, ‘নারীর স্বাধীনতা কথাটা এত সোজা না। স্বাধীনতা কেউ কাউকে দেয় না,বঙ্গবন্ধু যেমন দেশের জন্য স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলেন, তেমনি নারীকেও তার স্বাধীনতা ও অধিকার ছিনিয়ে আনতে হবে। অধিকার রক্ষায় তাই আমাদের সংঘবদ্ধ হতে হবে। নারীদের অর্গানাইজেশনগুলোকে কাজ করতে হবে।

তাসমিমা হোসেন আরও বলেন, ‘নারী মানেই পাচার, নারী মানেই একটা ভোগ্য পণ্য হয়ে গেছে। এখান থেকে না আমরা যতদিন পর্যন্ত বের হয়ে আসতে পারবো, তত দিন পর্যন্ত আমাদের নিস্তার নেই।’

সাবরিনা সুলতানা বলেন, ‘সমাজে প্রতিবন্ধী নারীরা আরও বেশি বঞ্চনা, নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি। এছাড়া, ছিলেন অপরাজেয় বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ওয়াহিদা বানু, বাংলাদেশ উইমেন্স হেলথ কোয়ালিশনের নির্বাহী পরিচালক শরীফ মোস্তফা হেলালসহ আয়োজক সংস্থার নেতারা।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ