Skip to content

৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সৌদি নারী যাবে মহাশূন্যে: গড়ে উঠুক সাম্যের পৃথিবী

সৌদি আরব এমন একটি দেশ যা মূলত মুসলিম প্রধান দেশগুলোর কাছে পবিত্রতার প্রতীক রূপে চিহ্নিত। প্রকৃত অর্থে ইসলাম প্রধান রাষ্ট্রগুলো এই দেশ থেকে নীতি-আদর্শ গ্রহণ করতে চেষ্টা করে। ফলে নারীদের ক্ষেত্রে সৌদি আরব যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, তা অনেক দেশেই বিশেষভাবে আমলে নেওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করতে সক্ষম।

সম্প্রতি সৌদি আরব প্রথম নারী হিসেবে কাউকে মহাকাশে পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। চলতি বছরের শেষের দিকে এক নারী মহকাশচারীকে মিশনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে কট্টর রক্ষণশীল দেশটির ভাবমূর্তি কিছুটা হলেও অন্যান্য দেশের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে। ১০ দিনের এই মিশনে সৌদি মহাকাশচারী রায়ানা বার্নাভি ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)-এ সৌদি আলি আল-কারনির সঙ্গে যোগ দেবেন ।

বেসরকারী মহাকাশ সংস্থা অ্যাক্সিওম স্পেস (এসপিএ) ও অ্যাক্সিওম জানিয়েছে, এই বসন্তে একটি মিশনের অংশ হিসেবে বার্নাভি ও আল-কারনি একটি স্পেসএক্স ড্রাগন মহাকাশযানে চড়ে আইএসএস-এ উড়বে। এছাড়াও এএক্স-২ এ থাকবেন সাবেক নাসা’র মহাকাশচারী পেগি হুইটসন, ও পাইলট হিসেবে কাজ করবেন টেনেসির ব্যবসায়ী জন শফনার। আইএসএস-এ তার চতুর্থ ফ্লাইট করবেন হুইটসন। এক্স-২ ক্রুদেরকে স্পেস এক্স ফ্যালকন ৯ রকেটের মাধ্যমে ফ্লোরিডায় নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টারের লঞ্চ কমপ্লেক্স ৩৯এ থেকে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন -এ পাঠানো হবে।

পুরো পৃথিবীতে পুরুষের মতোই নারীরাও আপন জগৎ সৃষ্টি করুক নিজ মেধা-মনন-যোগ্যতায়-দক্ষতায়। গড়ে উঠুক সাম্যের পৃথিবী।

নারীদের ক্ষেত্রে ইসলামী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রক্ষণশীল জীবনযাপন প্রথা চালু আছে সৌদি আরবে। যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সৌদি আরব কিছুটা হলেও শিথিলতা নিয়ে আসছে নারীদের জীবন পরিচালনার ওপর থেকে। এই বিধিনিষেধের শিথিলতা নতুন দিক উন্মোচন করতে সক্ষম হবে। ফলে নারীরাও পুরুষের মতো নিজেদের মেলে ধরতে পারবে বিশ্বের কাছে। দেশের গণ্ডিতে যখন নারীর জীবনকে সহজ করে তোলা হবে তখন নারী অনেক বিষয়ে নতুনভাবে আগ্রহী হবে এটাই স্বাভাবিক। অর্থাৎ নারীর জন্য নতুন দিক উন্মোচিত হবে সহজেই। যুগের চাহিদায় সৌদির এই সিদ্ধান্ত সত্যি প্রশংসার দাবিদার।

আর সৌদির এই সিদ্ধান্ত শুধু একটি সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখলে হবে না বরং এটি যুগান্তকারী বিপ্লবও বলা চলে। কারণ আবহমানকাল ধরে সৌদি নারীদের ক্ষেত্রে রক্ষণশীল৷ অন্য ধর্মাবলম্বী, জাতি, রাষ্ট্র থেকে তাদের পৃথক করে রেখেছে পর্দাপ্রথা, জীবনযাপন পদ্ধতি, রীতি-রেওয়াজ। ফলে মহাকাশে নারী নভোচারী পাঠানোর মধ্যে দিয়ে সৌদি নারীদের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

আফগানিস্তান, ইরান, মিশরের মতো মুসলিম প্রধান দেশগুলোও নারীদের ক্ষেত্রে সৌদির সিদ্ধান্তকে সাদরে গ্রহণ করতে পারে। অর্থাৎ অতি রক্ষণশীলতার পথে যুগের আবহে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হোক। পুরো পৃথিবীতে পুরুষের মতোই নারীরাও আপন জগৎ সৃষ্টি করুক নিজ মেধা-মনন-যোগ্যতায়-দক্ষতায়। গড়ে উঠুক সাম্যের পৃথিবী।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ