শীতে রোদ পোহানোর উপকারিতা
এই শীতকালে আমরা এক চিলতে রোদের আশায় মুখিয়ে থাকি। বাচ্চা বৃদ্ধ সবার মধ্যে হিড়িক পরে যায় রোদ পোহানোর জন্য। আবার অনেকেই মনে করেন রোদ বোধ হয় শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তবে রোদ গায়ে লাগালে পাওয়া যায় অসংখ্য সুফলও তা অনেকেরই অজানা। সে সুফল নিয়েই আলোচনা করা যাক আজ-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: কিছু সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, গায়ে রোদ লাগলে ‘টি সেল’গুলি প্রবলভাবে সক্রিয় হয়ে পড়ে। মনে রাখতে হবে, এই ‘টি সেল’ আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা নেয়। সংক্রমণের জায়গায় পৌঁছে সেখানকার সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে বা সরাসরি জীবাণুর সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয় টি সেল। তাই টি সেলের সক্রিয়তা বজায় থাকা দরকার।
ভিটামিন ডি: একমাত্র ভিটামিন ডি ত্বকে তৈরি হয় হয় রোদ পাওয়ার পরেই। ভিটামিন ডি-এর অভাবে অকালে হাড় ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। অথচ সামান্য গায়ে রোদ লাগালে এই ধরনের সমস্যা এড়ানো সম্ভব।
ক্যান্সার প্রতিরোধে : বেশ কিছু সমীক্ষায় দাবি করা হচ্ছে ব্রেস্ট, কোলোন এবং প্রস্টেট ক্যান্সার রোধে সাহায্য করে সূর্যের আলো।
ঘুমের হরমোন : আমাদের শরীরের মেলাটোনিন নামে একটি হরমোন ক্ষরিত হয়, যার কারণে আমাদের ঘুম আসে। দিনের বেলায় প্রকৃতির উজ্জ্বল আলোয় কাজ করলে রাতে মেলাটোনিন ক্ষরণ ভালো হয়। খুব ভালো হয় ভোরের আলোয় জেগে উঠে দিন শুরু করলে। মেলাটোনিন আমাদের শারীরবৃত্তীয় ঘড়িটিকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
রক্তচাপ কমাতে: রোদে থাকে অতিবেগুনি রশ্মি। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, এই রশ্মির সংস্পর্শে আসলে ত্বক থেকে নাইট্রিক অক্সাইড নিঃসৃত হয়। এই রাসায়নিকটি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
তবে গায়ে বেশি রোদ লাগালে তা উপকারের পরিবর্তে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বেশি রোদে যেসব ক্ষতি হতে পারে। রোদে গেলেই প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি পাওয়া যাবে না। বরং মানতে হবে সঠিক নিয়ম। ১০ থেকে ৩০ মিনিট রোদে থাকলেই প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এ সময়ে যতটা সম্ভব ছোট হাতার পাতলা কাপড় পরতে হবে, যেন রোদ সরাসরি গায়ে লাগে। মুখে রোদ লাগাতে না চাইলে সূর্যের দিকে পিঠ এলিয়ে দিয়ে বসতে পারেন। ত্বক খুব বেশি স্পর্শকাতর না হলে সানস্ক্রিন ছাড়া কিছু সময় রোদে বসলে ত্বক বেশি ভিটামিন ডি পাবে। এ ছাড়া চাইলে সানগ্লাস ও হ্যাট পরেও রোদে বসা যায়।