পায়ের যত্নে করণীয়
হাত-মুখ ও শরীরের অন্যান্য অংশের মত আমাদের পায়েরও যত্ন নেওয়া জরুরী। প্রচলিত একটি কথা আছে একজন মানুষ কতটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন সেটা তার পায়ের দিকে তাকালে অতি সহজেই বোঝা যায়। আপনি যতই ভালো পোশাক, জুতো যাই পড়ুন না কেন পা যদি হয় অসুন্দর তবে সৌন্দর্যের অনেকখানিই ঢাকা পড়ে যায়। তাহলে আজকে জেনে নেওয়া যাক কিভাবে অতি সহজেই পায়ের যত্ন নিবেন।
হালকা গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখলে সহজে ময়লা পরিষ্কার করা যায়, পায়ের শুষ্কতাও কমে আসে। এভাবে সম্ভব না হলে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে লিকুইড সাবান, বডি ওয়াশার কিংবা শ্যাম্পু মিশিয়ে ভালোভাবে ঘষে পায়ের ময়লা তুলে ফেলুন। পেডিকিওর সেটের ব্রাশে তরল সাবান নিয়ে এর মাধ্যমে নখ পরিষ্কার করে নিতে পারেন।
শুধু শীতকালে নয় গরম হলেও পায়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই। আবার ত্বক তৈলাক্ত বা স্বাভাবিক হলেও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা চাই। কারণ, পায়ের ত্বক শুষ্ক থাকলেই শুরু হবে পা ফাটা ও মরা চামড়া ওঠা। তাই সব থেকে ভালো পা ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে ময়েশ্চারাইজার লাগানো। আর খুব বেশি পা ফাটা থাকলে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে মোজা পড়ে রাতে ঘুমাতে পারেন।
বাইরে যাওয়ার আগে পায়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। অনেকে বাইরে যাওয়ার আগে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করে না, কারণ তাতে সহজেই ময়লা আটকে যায়। এটি কিন্তু ঠিক নয়। ধুলো-ময়লা সরাসরি ত্বকে না লেগে পেট্রোলিয়াম জেলির স্তরের ওপর আটকালেই বরং তা পরিষ্কার করা সহজ হয়।
ফুট স্ক্রাব পায়ের ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে পা সচল রাখতে সহায়তা করে। একটি বাটিতে আনারস পেস্ট, চিনি এবং টক দই ভালোভাবে মিশ্রিত করুন। প্যাকটি আপনার পায়ে ১০-১২ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করুন। তারপর আরো ১০ মিনিট রেখে উষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
আনারসে থাকা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং এনজাইম ত্বক এক্সফোলিয়েট করে ত্বকের মরা কোষ দূর করে এবং ত্বকের চামড়া উজ্জ্বল করে।
জলপাই-এর গুনের অভাব নেই! কালো জলপাইয়ের তেলে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ফ্যাটি অ্যাসিড। অলিভওয়েলে আছে ভিটামিন ই যা ত্বকের জন্য অনেক ভালো। রাতে ঘুমানোর আগে পা পরিষ্কার করে অলিভওয়েল গোড়ালি ও পায়ের পাতা সহ লাগাতে পারেন। এটি পায়ের রুক্ষতা দূর করে পাকে নরম কোমল করে তুলে।
এছাড়া খালি পায়ে বেশি সময় হাঁটবেন না। কারণ বেশি সময় খালি পায়ে হাঁটলে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করতে পারে।