Skip to content

৯ই মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | বৃহস্পতিবার | ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাড়তি মেদ কমাতে চান?

জিরো ফিগারের এই যুগে সবাই চায় মেদহীন ফিট শরীর। কিন্তু একবার যদি নিজের অবহেলার কারণে শরীরে মেদ জমে যায় তাহলে দেহে দেখা দেয় নানাবিদ স্বাস্থ্য সমস্যা। জমে যাওয়া মেদ দূর করা কষ্টসাধ্য হলেও অসম্ভব নয়। অনেকে তাদের শরীরের বাড়তি মেদ ঝরিয়ে সুস্থ আছেন। শুধু ওজন বা মেদ কমানোর জন্য কিছু ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে। অনেকেই ওজন কমানোর জন্য এতোটাই ব্যস্ত হয়ে পরে যে তারা অস্বাস্থ্যকর পথ অবলম্বন করেন, যা দেহের জন্য পরবর্তীতে ডেকে আনতে পারে মারাত্মক ক্ষতি।

প্রথমে ওজন কমানোর জন্য মন স্থির করে তাড়াহুড়ো করা যাবে না, ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যসম্মত উপায় মেনে চলতে হবে। মনে রাখতে হবে, ওজন কমানো মানে না খেয়ে থাকা নয়, খেতে হবে পরিমিত পুষ্টিকর খাবার এবং চেষ্টা করতে হবে যতটা সম্ভব ঘরে তৈরি খাবারকে প্রাধান্য দিতে হবে।

রান্নায় বাড়তি তেল ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে। পুষ্টিকর খাদ্য দুধ,ডিম, সব ধরনের মাছ, মাংস, শাক-সবজি,ডাল, ফলমূল ইত্যাদি পরিমিত পরিমানে খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। প্রতিদিন দেহের চাহিদা অনুযায়ী পানি পান করতে হবে এবং অবশ্যই রাতের ঘুম ঠিক রাখতে হবে।

ওজন কমাতে ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অনেকেই বাড়তি মেদ ঝরাতে জিমে যায় কিন্তু জিমে যে যেতেই হবে এমন না আমরা দৈনন্দিন জীবনে অনেক কাজের মাধ্যমে শারীরিক পরিশ্রম করতে পারি যেমন লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি ব্যবহার করা, সম্ভব হলে রিকশা বা গাড়িকে এড়িয়ে হেঁটে পথ চলা। কিংবা দিনে যেকোনো একটা সময় বের করে ৪০মিনিট নিয়মিত হাঁটা।

মনোবল ঠিক রেখে আর কিছু নিয়ম মেনে চললে শরীরের বাড়তি ওজন কমানো কঠিন কিছু না, রাখতে হবে ধৈর্য। অনেকেই ভুল পথে ওজন কমাতে গিয়ে নিজের ক্ষতি বয়ে আনে, পুষ্টির অভাবে চুল, ত্বক এবং নখে নানারকম সমস্যা দেখা দিতে পারে,হতে পারে রক্তশূন্যতা।

কখনো অন্যের ডায়েট অনুসরণ করে ওজন কমানোর চেষ্টা করা উচিত নয়, কারণ সবার দেহের চাহিদা, বয়স, ওজন এক নয়। তাই সবার খাদ্য তালিকা হবে ভিন্ন। প্রয়োজনে কোনো পুষ্টিবিদ কিংবা বিশেষজ্ঞ অধীনে থেকে ওজন কমানো যেতে পারে।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ