বিশ্ব শিক্ষক দিবসে যা বললেন শিক্ষার্থীরা
‘শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড’ অর্থাৎ যে জাতির শিক্ষা যত উন্নত সে দেশও ততই উন্নত। আর এই শিক্ষিত করার দায়ভার টা থাকে একজন শিক্ষকের ওপর। একজন শিক্ষককে মানুষ গড়ার কারিগরও বলা হয়। গুরু হিসেবেও শিক্ষককে ডাকা হয়। তবে এই গুরু শিষ্যের সম্পর্কটা বেশ নিবিড় হয়। একজন মা যেভাবে তার সন্তানকে আগলে রাখেন ঠিক একইভাবে একজন গুরুও তার শিষ্যকে অর্থাৎ একজন শিক্ষকও তার শিক্ষার্থীকে আগলে রাখেন।
মা-বাবার পরেই একজন গুরুর স্থান। মানুষের জীবনে শিক্ষার কোন শেষ নেই। জন্মের পর প্রথম শিক্ষক হন মা। মায়ের কাছেই শিশুরা প্রথম শিক্ষা পান। এরপর আসে একাডেমিক শিক্ষা। একাডেমিক শিক্ষাতেও শিক্ষার্থীদের জীবনে এমন অনেক শিক্ষক থাকেন যারা তাদের সারাজীবন দিকনির্দেশনা দিয়ে যান। তাদের দেওয়া মনোবলই শিক্ষার্থীদের শক্তি হয়ে থাকে।
একজন শিক্ষক যখন জোর দিয়ে বলেন তার শিক্ষার্থীর ওপর বিশ্বাস আছে যে সে পারবে। সেই সময়ে শিক্ষার্থী নিজের সেরাটা দিয়ে দেয়। কারণ শিক্ষকের ভরসাটাই শিক্ষার্থীর আত্মবিশ্বাস। শিক্ষা জীবনের শেষ নেই কিন্তু নূন্যতম একাডেমিক শিক্ষা শেষ করে যখন কাজের জীবনে প্রবেশ করে সেই সময়েও মানুষের জীবনে একজন গুরু থাকেন। যিনি সঠিকভাবে কাজটি করতে শেখান। একজন মানুষের জীবনে যেমন শেখার শেষ নেই ঠিক সেভাবেই শেখানোর মানুষেরও শেষ নেই। জীবনের শুরু থেকে শেষ অবদি প্রতিটি ধাপেই একজন শিক্ষকের ছায়া মাথার উপরে থাকে। ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস। সকল শিক্ষকদের বিশ্ব শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা। বিশ্ব শিক্ষক দিবসে সকল শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শিক্ষার্থীরা নিজেদের ভাব প্রকাশ করেছেন।
নাহিন আশরাফ তার সব শিক্ষকসহ পৃথিবীর সব শিক্ষকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন ‘তাদের অবদানের কথা আসলে বলে শেষ করা যাবে না, তারা না থাকলে হয়তো আজকে আমি হতাম না। তাদের একটু শাসন আর অনেক ভালোবাসাতে আমরা গড়ে উঠতেসি। এইযে আজকে যা একটি জানি বুঝি তা সবটাই তাদের ভূমিকা। দোয়া ভালো থাকুক প্রতিটা শিক্ষক!’
সাজনাত ছোঁয়া বলেন ‘শিক্ষকরা হলেন একটি জ্বলন্ত মোমবাতির মতো। যাঁরা নিজেরা প্রজ্বলিত হয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের আলো প্রদান করেন। তাঁদের থেকে বন্ধুত্বপূর্ণ নির্দেশনা, শৃঙ্খলা এবং স্নেহ-ভালোবাসা, শাসন এই সবকিছুই পাওয়া যায়। একজন সফল মানুষের পিছনে পরিবারের পর শিক্ষকই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একজন আদর্শ শিক্ষক তার শিক্ষার্থীকে চলার পথে পরামর্শ দেন, ব্যর্থতায় পাশে দাঁড়িয়ে উৎসাহ দেন, সাফল্যের দিনে নতুন লক্ষ স্থির করে দিয়ে শুধু সফলই নয় বরং একজন আদর্শ শিক্ষার্থী তথা নাগরিক হওয়া শেখান। অ-আ-ক-খ … থেকে শুরু করে আজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন পর্যন্ত আসায় জীবনে যতজন শিক্ষককে পেয়েছি , শিক্ষক দিবসে তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা।’
তানহা তাসনিম ইফাজ নিজের শিক্ষকদের স্মরণে রেখে বলেন,
“মানুষ গড়ার কারিগর তুমি,
মোদের শিক্ষাগুরু,
তুমিই আমাদের আলোর দিশারী,
শুভ চেতনার শুরু।”
আজ ৫ই সেপ্টেম্বর জাতীয় শিক্ষক দিবস উপলক্ষে সকল শিক্ষককে জানাই শ্রদ্ধাপূর্বক সালাম এবং সকল শিক্ষককের প্রতি রইল অনেক অনেক ভালোবাসা। একজন শিক্ষকের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ নির্দেশনা, শৃঙ্খলা এবং স্নেহ-ভালোবাসা এই সবকিছুই পাওয়া যায়। একজন সফল মানুষের পিছনে শিক্ষক যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, তা নতুন করে বলার কিছু নেই। একজন শিক্ষক তিনি যে শিক্ষার্থীকে শেখাবেন শুধু তাই নয়, তিনি শিক্ষার্থীকে চলার পথে পরামর্শ দেবেন, ব্যর্থতায় পাশে দাঁড়িয়ে উৎসাহ দেবেন, তিনি সাফল্যের দিনে নতুন লক্ষ স্থির করে দিয়ে শুধু সফলই নয় বরং একজন আদর্শ শিক্ষার্থী তথা নাগরিক হওয়া শেখাবেন।
ইরতিজা জান্নাত মিম বলেন ‘প্রতিটি সফল ব্যাক্তির পিছনে একজন শিক্ষক এর ভূমিকা থাকে। কারণ শিক্ষকই হলেন জীবন গড়ার কারিগর। তার কারিগরিতেই একজন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত গড়ে উঠে। একজন আদর্শ শিক্ষক আমদের সঠিক পথ দেখান। তবে আমার জীবন এ আমার প্রথম শিক্ষক আমার মা।