পুজোর খাওয়া-দাওয়া
শহরে জুড়ে ঢাকের শব্দ, পাড়ায় পাড়ায় মণ্ডপ। চলছে কব্জি ডুবিয়ে ভুড়িভোজ, আলুর দম লুচি, খিচুড়ি ইলিশ, বিরিয়ানি, রসগোল্লা কি নেই পাতে! হিন্দু ধর্ম অনুসারীরা সারা বছর যেন এই দিনগুলোর জন্য অপেক্ষা করে। সব ভুলে শুধু আনন্দ ও খাওয়াদাওয়া। কিন্তু এই অতিমাত্রায় তেল মশলাযুক্ত খাবার খেতে গিয়ে পুজোর দিনগুলোতে হতে পারে বিড়ম্বনা। গ্যাসে সমস্যা, ফুড পয়জনিং, কিংবা পেটে ব্যথা হলে পুজোটা আর জমিয়ে করা যাবে না। তাই খাবারদাবারে থাকতে হবে কিছুটা সচেতন!
পুজো বলে কথা এই সময় কি কেউ খাবারে নিষেধ করা মানায়? এরপরেও কিছুটা নিয়ম মেনে চলে হবে। কোনো বেলায় যদি বেশী খাওয়া হয়ে যায় তাহলে পরের বেলায় তা ব্যালেন্স করে নিতে হবে। খাবারের পাতে বেশী করে সালাদ, সবজি রাখার চেষ্টা করতে হবে, ভিটামিন সি এর জন্য লেবু খাওয়া যেতে পারে। খাওয়ার পর এক বাটি টক দই হজম শক্তি বাড়ায়, তাই খাওয়া পর টক দই খেতে পারলে গ্যাস সমস্যা থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়া যেতে পারে। আর ভারী খাওয়ার পর বসে না থেকে কিছুটা হাঁটাহাঁটি করা যেতে পারে, এতে দ্রুত খাবার হজম হবে।
রিফ্রেশমেন্ট এর জন্য ঘরে তৈরি ডিটক্স ওয়াটার খাওয়া যেতে পারে। আর চেষ্টা করতে হবে যাতে ভারী খাবারটা দুপুরেই সেরে নিতে, রাতে কিছুটা হালকা খাবার খাওয়াই শ্রেয়। পুজোর মজা তো নিতে হবে মন ভরে, কিন্তু এর পাশাপাশি শরীরের প্রতিও কিছুটা যত্নশীল হতে হবে।