চুলের ফ্যাশন ও যত্ন!
যুগ যুগ ধরেই নারীর সৌন্দর্যের প্রধান অংশ চুল, চুল নিয়ে যেন নারীদের জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। কখনো নতুন হেয়ার কাট, কখনো নতুন রঙে রাঙানো চুল। চুল যেহেতু সৌন্দর্যের প্রধান অংশ তাই চুল নিয়ে কোনো ভুল সিদ্ধান্ত যেন আফসোস এর কারণ। তাই চুলে নতুন কিছু করার আগে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে!
চুলে যে কোনো ফ্যাশন বা স্টাইলিং এর আগে অবশ্যই ঋতুকেও প্রাধান্য দিতে হবে। যেমন গ্রীষ্মকালে চুলে খোঁপা করা যেতে পারে, কোনো অনুষ্ঠানে খোঁপা করে ফুল গুঁজে দিয়ে নিজের মাঝে নিয়ে আসা যায় নতুনত্ব, এতে করে স্টাইল হলো আবার গরমও কম লাগলো। আবার উল্টোদিকে শীতকালে যেকোনো স্টাইলিং করা যায় নির্দ্বিধায়।
চুল কাটের ক্ষেত্রে অবশ্যই চেহারার গঠনকে গুরুত্ব দিতে হবে। সব কাট সবার জন্য উপযুক্ত নয়! সবচেয়ে ভালো হয় চুলে কাটের আগে যদি অভিজ্ঞ কারো সাথে আলোচনা করে নেয়া যায়। সে চেহারার আকৃতি বুঝে পরামর্শ দিতে পারেন।
ফ্যাশন সচেতন নারীদের পছন্দের তালিকায় এখন আছে নিজের চুলকে নানা রঙ এ রঙিন করা। চুলে সুন্দর কোনো রঙ করে যেন নজরকাড়া যায়। কিন্তু এই চুলের রঙ নির্বাচন করার আগে অবশ্যই অনেক বেশী ভাবতে হবে। কোনো রঙ ভালো লাগলেই তা করে ফেলা যাবে না। চুলের রঙ নির্বাচন করার আগে গুরুত্ব দিতে হবে গায়ের রংকে। সব গায়ের রং এর সাথে সব রং মানানসই না, তাই অন্যের চুলে কোনো রং দেখে ভালো লাগলেই করা যাবে না।
চুল রঙ করার পর নিতে হবে চুলের বিশেষ যত্ন, কারণ কেমিক্যাল এর ফলে চুলের গোঁড়া ফেটে গিয়ে চুল পরতে পারে। তাই নিয়মিত চুলে তেল দিতে হবে এবং মাসে একবার পার্লারে গিয়ে একটি প্রোটিন ট্রিটমেন্ট নেয়া যেতে পারে। এছাড়াও অনেকে ক্যারোটিন এবং রিবন্ডিং সহ অনেক ট্রিটমেন্ট করে থাকে চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য।
তবে যত স্টাইলিং এ চুলে করা হোক না কেন চুলকে ভালো রাখতে হলে নিতে হবে যত্ন। সব সময় চুলকে রোদ বৃষ্টি থেকে সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করতে হবে, নিয়মিত তেল দিতে হবে এবং যতটা সম্ভব চুলকে কৃত্রিম উপাদান থেকে দূরে রাখতে হবে। সব সময় পার্লারে গিয়ে ইনভেস্ট করতে হবে এমন নয়, ঘরে বসেও কিছু প্যাক তৈরি করে দেয়া যেতে পারে।
চুলের জন্য সবচেয়ে উপকারী উপাদান হচ্ছে প্রোটিন যা আমরা খাদ্য মাধ্যমেও বাইরে থেকে দিতে পারি যেমন বেশি করে দুধ, ডিম, বাদাম, মাছ,মাংস, ডাল ইত্যাদি। চুলে যত স্টাইলিং করি না যদি ন্যাচারাল ভাবে চুলের যত্ন নিতে হবে, তবেই চুলে সব ধরনের ফ্যাশন সুন্দরভাবে ফুটে উঠবে।