যুক্তরাজ্যে তৃতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস
যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন লিজ ট্রাস। এবার যুক্তরাজ্যের নির্বাচন ঘিরে ছিল অনেক জল্পনা -কল্পনা। কারণ লিজের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাককে। ঋষি সুনাককে বিপুল ব্যবধানে হারিয়ে যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন লিজ। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ সময় বেলা সাড়ে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হয়।
ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের নেতৃত্বের দৌড়ে ঋষি সুনাক এবং লিজ ট্রাসের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। সাধারণ ভোটারদের বদলে এবারের নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে বেছে নিয়েছেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির ১ লাখ ৬০ হাজার সদস্য। এর আগে নিজ দলের মন্ত্রীদের গণপদত্যাগ ও এমপিদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৭ জুলাই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও কনজারভেটিভ পার্টিপ্রধান হিসেবে পদত্যাগের ঘোষণা দেন বরিস জনসন।
বামপন্থী পরিবারে জন্ম নেওয়া ট্রাস প্রথমে লিবারেল ডেমোক্র্যাট ছিলেন। তবে ২০১০ সালে তিনি কনজারভেটিভ পার্টি থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। ট্রাস ব্রেক্সিটের বিপক্ষে ছিলেন। তবে ব্রিটিশরা ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দিলে তিনি দ্রুতই ব্রেক্সিটের কট্টর সমর্থক হয়ে উঠেছিলেন। এরপর ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন লিজ ট্রাসকে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে গড়া প্রতিনিধি দলের প্রধান করেছিলেন। গতবছর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান ট্রাস। মন্ত্রী থেকে চলে এলেন প্রধানমন্ত্রীর পদে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই ক্রমবর্ধমান জ্বালানি সংকট মোকাবেলায় কর কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে কনজারভেটিভ পার্টির এই নেতা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। লিজ ট্রাস ফলাফল ঘোষণার পরে বলেন, আমি কর কমানোর ও অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য একটি দৃঢ় পরিকল্পনা নেব। জ্বালানি সংকট, বাড়তি বিদ্যুৎ বিলের বোঝা ও জ্বালানি সরবরাহের মতো দীর্ঘ মেয়াদি সমস্যাগুলোও মোকাবেলা করব।
লিজের প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা আসার পর থেকে বিশ্বজুড়ে আলোচনায় এসেছেন তিনি। তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিশ্বের বড় বড় নেতৃবৃন্দরা। অনেকেই লিজের জয়কে দেখছেন নারীশক্তির জয় হিসেবে।
অনন্যা/এসএএস