রূপচর্চায় চাল ধোয়া পানি
বাঙালি ভাত না খেয়ে থাকতে পারে না। দিনে একবার হলেও বাঙালির ভাত খেতেই হয়। ভাতের চালে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট। আর এই কার্বোহাইড্রেট সম্পন্ন চাল শুধু যে খাদ্য চাহিদা মেটায় তাই নয়। এটি রূপচর্চায় দারুণ উপকারী। ত্বক কিংবা চুলের যত্নে চালের গুঁড়ো এবং চাল ধোয়া পানির রয়েছে অনেক ব্যবহারিক উপকারিতা।
এই যেমন- চাল ধোয়া পানি প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন হিসেবে কাজ করে। শুধু তাই নয়, এই পানি ত্বককে উজ্জ্বল, মসৃণ ও কোমল করে তোলার পাশাপাশি বিভিন্ন চর্মরোগ নির্ময়ে, অকাল বার্ধক্য দূর করতেও ব্যাপক কার্যকরী।
রূপচর্চায় এই চালের পানি সংরক্ষণও করে রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে এক কাপ চালের সঙ্গে দুই কাপ পানি মিশিয়ে প্রায় আধাঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে সেই পানি সংরক্ষণ করতে পারেন। বা একই পরিমাণ পানি আধা সেদ্ধ করেও সংরক্ষণ করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন অর্গানিক চাল খুব ভালো ভাবে ধুয়ে ব্যবহার করার জন্য। সাদা চাল হলে বেশি ভালো হয়। তবে পাঁচদিনের বেশি সংরক্ষণ করবেন না।
এই সংরক্ষিত পানি দিয়ে দিনে অন্তত দুবার মুখ ধুয়ে নিন। এতে সেনসিটিভ স্কিনের জন্য ও ব্রণ-পিম্পলের সমস্যা দূর করতে ব্যাপক উপকারী হবে। যাদের সানবার্নের সমস্যা তারাও এটি ব্যবহারে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
চালের পানিতে থাকা ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই, ফেরুলিক অ্যাসিড, ফ্ল্যাভনয়েড এবং ফেনোলিক কম্পাউন্ড এই উপাদানগুলো বার্ধক্য রোধ করে এবং ত্বকের ক্রিয়াকলাপে উপকারী ভূমিকা পালন করে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও এটি অনেক উপকারী। এছাড়াও সানস্পট, পিগমেন্টেশন, ফ্রিকেলস, হালকা করতে চালের পানিতে তুলা ভিজিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করতে পারেন ।
অনন্যা/এসএএস