‘নারী দিবস বুঝতে হলে পরিপূর্ণ মানুষ হতে হবে’
দৈনিক ইত্তেফাক ও পাক্ষিক অনন্যার সম্পাদক তাসমিমা হোসেন বলেছেন, নারী দিবস বুঝতে হলে পরিপূর্ণ মানুষ হতে হবে। আমরা শিক্ষিত হচ্ছি, কিন্তু নিজেদের ভেতরে ডেডিকেশন ও সিনসিয়ারিটি থাকছে না। এই দুটো জিনিস না থাকলে আমরা যতই শিক্ষিত হই, কিছুই করতে পারবো না।
মঙ্গলবার (৮ মার্চ) বিকেলে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে পাক্ষিক অনন্যা আয়োজিত ‘লিঙ্গ সমতাই গড়বে টেকসই ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।
অভিনয় শিল্পী বন্যা মির্জা
তিনি আরও বলেন, জীবন থেকে নেয়া শিক্ষা, সবচেয়ে বড় শিক্ষা। সেই শিক্ষা নিয়ে সমাজে অধিকার আদায় করে নিতে হবে। আর নিজেকে ভালোবাসতে হবে, অন্যের অধিকারের প্রতি হাত বাড়ানো যাবে না। তিনি বলেন, মানুষকে যদি ভালোবাসা যায় তাহলে কোন ভেদাভেদ বা ধর্ম নিয়ে সংঘাত হয় না। নারী না থাকলে সমাজে পুরুষ যেমন থাকবে না, তেমনি পুরুষ না তাকলেও নারী থাকবে না।
অনুষ্ঠানে অভিনয় শিল্পী বন্যা মির্জার সঞ্চালনায় আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন, কলামিস্ট ও এইচআর প্রফেশনাল লীনা পারভীন, উইমেন এন্ড ইন ডিজিটাল এর প্রতিষ্ঠাতা আছিয়া খালেদা নীলা।
প্রশ্ন-উত্তর পর্বে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সমতার প্রশ্নে অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন হিউম্যান রিপোর্টের উদ্বৃতি দিয়ে বলেন ১৯৯৫ সালে বেইজিং সম্মেলনে যে সমতার কথা তারা বলেছিল, সমতা অতিরেই আসবে। সেজন্যে তারা ২০৩০ সালের মধ্যে ইকোনোমির জায়গাটা নিশ্চিত হবে। আজকে তারা নতুন করে গবেষণা করে বলছে যে, না যে হারে তা আগাচ্ছে, সেই হারে যদি যায় তাহলে ২৭৭ বছর লাগবে, সেই সমতা কমিয়ে আনতে।
কলামিস্ট লীনা পারভীন বলেন, মূল সমস্যাটা পুরুষতান্ত্রিকতার, এর পরিবর্তন হতে হবে। রাজনীতি বুঝতে হবে সেটা প্রশাসনের রাজনীতি, রাষ্ট্রের রাজনীতি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রাজনতি। তিনি বলেন, বৈষম্য বা সহিংসতা হলেই প্রতিবাদ করেতে হবে। প্রতিবাদের কোন বিকল্প নেই। তিনি বলেন, সম্পত্তিতে সমান অধিকারের বিষয়ে রাষ্ট্রকে বাধ্য করতে হবে। প্রতিষ্ঠাতা আছিয়া খালেদা নীলা বলেন, আমরা নেট দুনিয়ায় নিজেদের কতটুকু তুলে ধরবো তা নিশ্চিত করতে নিজের জ্ঞানের উপর। সেখানেও নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে নিজের।