Skip to content

১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারীজীবনের পারিপার্শ্বিকতা 

'বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর,
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।'

অর্থাৎ, এই পৃথিবীতে নারী ও পুরুষ দুজনেই সমান ভূমিকা রাখে। একজনকে ছাড়া অন্যজন এগোতে পারে না। কিন্তু তার পরও দেখা যায় সমাজে পুরুষের চলাচল কিংবা বেড়ে ওঠা যতটা সহজ, নারীর ক্ষেত্রে সেটি ততটাই কঠিন। একজন নারী চাইলেই যে কাজ করতে পারে না, একজন পুরুষ তা সহজেই করে ফেলে। 

একটি শিশুর জন্মের পর থেকে বেড়ে ওঠা অবধি সে শুধুই শিশু থাকে। কিন্তু শিশুটি যদি মেয়ে শিশু হয়, তাহলে তাকে ভুগতে হয় নানা জটিলতায়। সে চাইলে বাইরে গিয়ে অন্য শিশুদের সাথে খেলতে পারে না। কিছু করতে চাইলে তাকে বাধা দেওয়া হয়। তার দোষ কি তাহলে মেয়ে হয়ে জন্ম নেওয়াই?

নারী চাইলেই কোনো স্বপ্ন দেখতে পারে না কেন? কেন পুরুষের মতো নির্দ্বিধায় চলাচল করতে পারে না? নারীর নিজের পোশাক নিয়েও ভাবতে হয়। 

নারীর পাশে তার পরিবার থাকলে, সে সহজে সব বাধা অতিক্রম করতে পারে। একজন নারীর শক্তিই তার পরিবার। যখন নারীর পরিবার নারীর পাশে থাকে, তখন তার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। নারীর নিজের পেশা নির্বাচনেও তাকে সাহায্য করতে পারে তার পরিবার। 

লোকে তো বলবেই, মেয়েকে বেশি পড়িয়ে কী করবেন? কিংবা মেয়ে হয়ে অমুক পেশায় না যাওয়াই ভালো। এই সব কিছুর জবাব দিতে নারীকে সাহায্য করতে পারে তার পরিবার। নারীরও যে স্বপ্ন দেখার অধিকার রয়েছে, সে-ও যে পারবে, তাকে সেই আত্মবিশ্বাসটা দিতে পারে তার পরিবার। 

পরিবারের পাশাপাশি সমাজেরও উচিত নারীর পাশে দাঁড়ানো। নারীরাও যে চাইলে যেকোনো কিছু করতে পারে, তাতে সমাজের সবার উচিত নারীকে সাহস জোগানো। তা না করে দেখা যায় নারীকে পেছনের দিকে টেনে ধরা হয়।

'মেয়ে তো মেয়েই’ এই ধারণায় নিজেকে আটকে না রেখে মেয়েরাও যে পারে, তা বিশ্বাস করতে হবে। একজন মেয়ে ঘরে ও বাইরে যত সহজে সামলাতে পারে, একজন পুরুষ তা পারে না। তাই নারীরা যেন সমাজে পিছিয়েপড়া মানুষ হয়ে না থাকে, সে-দিকে সবার নজর দেওয়া উচিত।

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ