শিশু নিরাপদে নেই, তো দেশ কী করে নিরাপদ থাকে!
শিশুরা দেশের সম্পদ। আজ যারা শিশু, আগামী দিনে তারাই দেশের নেতৃত্ব। তাদের হাতেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে। এই শিশুই যদি নিরাপদ না থাকে, তাহলে দেশের ভবিষ্যৎ কিভাবে নিরাপদ থাকবে!
একটি শিশুর বেড়ে ওঠা ও শিক্ষা, সব কিছুই পরিবারের ওপর নির্ভর করে। কিন্তু পরিবারে কি শিশু নিরাপদ? শিশু যদি পরিবারেই নিরাপদ না থাকে, তাহলে নিরাপদ থাকবে কোথায়?
অনেকে থাকেন। শিশুর ভালো-মন্দ ও নিরাপত্তায় পরিবারের প্রতিটি সদস্যই সমান ভূমিকা রাখবে। অনেক সময় পরিবারেই এমন কিছু সদস্য থাকে, যারা শিশুর সাথে অশালীন আচরণ করে এবং শিশুকে অনৈতিকভাবে স্পর্শ করার চেষ্টা করে। এই অশালীন আচরণ শিশুর মানসিক ও শারীরিক, দুই ধরনের বিকাশেই আঘাত হানে।
শিশু বাইরে খেলতে যায়, সেখানে তার থেকে বেশি বয়সের ছেলে-মেয়েরাও থাকে। খেলাধুলার সময় প্রায়ই শিশু বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। অন্যের কথা না শুনলে মার-ধরও করে। এই মার-ধর তার স্বাভাবিক বেড়ে ওঠায় বিঘ্ন ঘটায়। কাউকে কাউকে ঘরকুনোও করে রাখে। । এ-ধরনের শিশু বাইরে খেলতে যেতে ভয় পায়, মানসিক অশান্তিতেও ভোগে।
স্কুলে শিশুরা শিখতে যায়। সেখানে যে শুধু অ্যাকাডেমিক শিক্ষাই দেওয়া হয় তা নয়। শিশু যেন নিজেকে শারীরিক ও মানসিক উভয়ভাবেই বিকাশ করতে পারে, সেই শিক্ষাটা স্কুল দিয়ে থাকে। কিন্তু স্কুলে শিক্ষকরা যখন শিশুদের কোনো ভুলের জন্য রাগ দেখান বা খারাপ ব্যবহার করেন, তখন সেটি শিশুদের বিকাশে আঘাত হানে। এ-ছাড়া স্কুলে যদি অপেক্ষাকৃত বড় ক্লাসের ছেলে-মেয়েরা ছোট ক্লাসের ছেলে-মেয়েদের ভয় দেখায়, এই ভয়ের কারণে অনেক সময় ছোট শিশুরা স্কুলে যেতে চায় না।
পরিবার, সমাজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সব জায়গাতেই যদি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়, তাহলে শিশুরা নিরাপদ কোথায়? শিশু যখন নিরাপদে নেই, তখন দেশ কী করে নিরাপদ থাকে!