Skip to content

১১ই মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শনিবার | ২৮শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনন্তযাত্রায় কবি কাজী রোজী

চলে গেলেন অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্ত কবি কাজী রোজী। কাজী রোজী সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন। কবিতার জন্য তিনি একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারসহ আরো অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। 

 

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ২টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য এই কবি। 

 

কবির মেয়ে লেখক সুমী সিকান্দার জানান, কাজী রোজীর মরদেহ হাসপাতাল থেকে সেগুনবাগিচার বাসভবনে নেওয়া হয়েছে। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁকে মিরপুরে দাফন করা হতে পারে। 

 

এর আগে, রোববার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে কাজী রোজীকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ইমার্জেন্সিতে ভর্তি করা হয়। রাতে কাজী রোজীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। 

 

মাল্টিপাল অর্গান প্রবলেমের কারণে তিনি নিজে শ্বাস নিতে পারছিলেন না। এছাড়া তার কোভিড পজিটিভ এবং তিনি আইসোলেশন আইসিইউতে ছিলেন।   

 

কবি কাজী রোজীর জন্ম ১৯৪৯ সালের পয়লা জানুয়ারি, সাতক্ষীরায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে সাহিত্যে স্নাতক ও এমএ পাস করেন। সরকারি চাকরি করেছেন। ২০০৭ সালে তথ্য অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা হিসেবে অবসর নেন। 

 

তিনি জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনে প্রথমাবস্থায় নির্বাচিত অপর ৪৭ জন সদস্যের সঙ্গে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ ‘সংসদ সদস্য’ পদে নির্বাচিত হন। কবিতায় তিনি প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে তিনি সাক্ষী হিসেবে মৌলবাদীদের টার্গেটে পরিণত হন। ক্যান্সারজয়ী এই কবি কবিতায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার,  বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও  বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক পান। 

 

কাজী রোজীর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো: পথঘাট মানুষের নাম (কাব্যগ্রন্থ), নষ্ট জোয়ার (কাব্যগ্রন্থ), আমার পিরানের কোনো মাপ নেই (কাব্যগ্রন্থ), লড়াই (কাব্যগ্রন্থ), শহীদ কবি মেহেরুন নেসা (জীবনী গ্রন্থ), রবীন্দ্রনাথ: রসিকতার কবিতা (গবেষণা গ্রন্থ)।

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ