সুপা সাদিয়ার লেখা বইয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও ইতিহাস
২০২২ এর বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে সুপা সাদিয়ার নতুন বই ‘‘বীরউত্তম’’ ও ‘‘স্মরণীয় দিনপঞ্জি’’র পরিবর্ধিত ও পরিমিার্জিত সংস্করণ। ইতোমধ্যে ২০২১ এ প্রকাশিত "মুক্তিযুদ্ধে শত শহীদ বুদ্ধিজীবী" বইটি যা দারুণ সুনাম কুড়িয়েছে ইতোমধ্যেই। অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, "সাদিয়ার এই রচনাটিতে যে কাহিনীটি আছে তা আমাদের সমষ্টিগত ইতিহাসের অংশ। এই ইতিহাসটা স্মরণে রাখা খুবই জরুরী। ইতিহাস না-জানা জাতি আর স্মৃতিভ্রষ্ট ব্যক্তির ভেতর পার্থক্য খুব কম। উভয়েই ঠিকানাবিহীন, পথভ্রান্ত এবং অবশ্যই অসুস্থ। অথচ বাংলাদেশে এখন ইতিহাসচর্চা অত্যন্ত নিম্নমুখী। সাদিয়ার এই বইটি আমাদেরকে ইতিহাসচর্চার আবশ্যকতার কথাটা স্মরণ করিয়ে দেয়।’’
মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক বদিউর রহমানের সন্তান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে আকড়ে ধরে বেড়ে উঠেছেন বরিশালে জন্ম নেয়া সুপা সাদিয়া। ২০০৪ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ব্রজমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে গণিতে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। গণিতের শিক্ষার্থী হলেও ছোটবেলা থেকেই ইতিহাস সংস্কৃতির প্রতি ঝোঁক ছিল তীব্র। ২০০১ সাল থেকে বাংলাদেশ বেতারের ঘোষক হিসেবে কাজ করছেন নিয়মিত। বাংলা একাডেমি, এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, বাংলাদেশ মহিলা সমিতিসহ বেশ কয়েকটি সংগঠনেরও সদস্য তিনি।
সুপা সাদিয়া ২০১৮ সালে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) থেকে বেসিক জার্নলিজমের ওপর সার্টিফিকেট কোর্স সম্পন্ন করেন। বর্তমানে গবেষণার পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর জনসংযোগ বিভাগের প্রধান হিসেবে।
তার অর্জনের ঝুলিতে রয়েছে ২০১৮ সালে গবেষণা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য 'এডুকেশন ওয়াচ’ পুরস্কার লাভ। ২০১৯ সালে মুক্তিযোদ্ধা "চিঠি" লেখা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী। তিনি অবিরাম লিখে চলছেন মুক্তিযুদ্ধ,ইতিহাস আর নানান বিচিত্র বিষয়ের উপর। তার প্রকাশিত গ্রন্থ ও গণিত শিখি (২০০৫-০৬),৭১ এর একাত্তর নারী (২০১৪),বায়ান্নর ৫৯ নারী (২০১৬, ২য় সংস্করণ), অগ্নিযুগ (২০১৭), বীরশ্রেষ্ঠ কথা (২০১৯), মুক্তিযুক্তে শত শহিদ বুদ্ধিজীবী (২০২১)। তার লেখা প্রায় ৩০০ এর উপর ফিচার/ আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও ম্যাগাজিনে।