নারীর সুরক্ষার কথা নারীকেই ভাবতে হচ্ছে!
একটা নারীবান্ধব সুরক্ষিত পথের জন্য কত বছর ধরে সেই একই কথা, একই বাক্য বলে আসছে নারীর অধিকারের জন্য লড়াই করা মানুষেরা। এই আন্দোলনের জন্য নিজেদের জীবন বিপন্ন রেখেছেন অনেকে। অনেকে দেশছাড়া হয়েছেন। আবার অনেকে নিজের পরিজনদের দ্বারা নানা রকমের বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন।
কিন্তু আদৌ কেউ সফল হতে পেরেছে কি? নারীর জন্য এখনো কি সব ক্ষেত্রে সমান অধিকার বিরাজ করে? নারীরা কি ধর্ষণের আতংক থেকে মুক্ত? কর্মক্ষেত্রে কি তাদের সাথে সমান আচরণ করা হয়? অনেকেই বলতে পারেন, আগের তুলনায় নারীর অধিকার পূরণ অনেক ক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় বেড়েছে অথবা তাদের মতে, নারীরা অধিকার থেকে বঞ্চিত না, বরং নারীরা যা পায়, বেশিই পায়!
কিন্তু পরিসংখ্যান তো তা বলে না। পরিসংখ্যান বলে, ভিন্ন কথা। নারীরা যৌন হয়রানি এড়াতে অনেক কৌশল অবলম্বন করে। তার মধ্যে একটা হলো, রাতে বাইরে না যাওয়া। যৌন হয়রানি এড়াতে প্রায় শতকরা ৬২ ভাগ নারী রাতে বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকে।একা ঘরে থাকতে চায় না শতকরা ৬০ ভাগ।
২১ ভাগ নারী আবার রঙিন পোশাক পরা ছেড়ে দিয়েছে। কারণ, রঙিন পোশাক পুরুষদের আকর্ষণ করে বলে তারা মনে করে। আত্মরক্ষার জন্য ৩ শতাংশ নারী সঙ্গে ধারালো যন্ত্রপাতি রাখে।
এই সব আত্মরক্ষা কৌশলকে মূলত ডিফেন্স ম্যাকানিজম বলে, যা একটা অস্থায়ী সমাধান বলে বিবেচনা করা যেতে পারে।
কিন্তু নারীর জন্য কি নিরাপদ একটা পথ নিশ্চিত করাই এই রাষ্ট্রের উচিত ছিলো না? কর্মক্ষেত্র, রাস্তাঘাট, এমনকি নিজের ঘরে পর্যন্ত নিরাপত্তা পাওয়ার কোনো লেশ পাওয়া যায় না কেন!
কেন এত আন্দোলন আর প্রশাসনিক আইন দেশে বহাল থাকার পরেও নারীকে নিজের সুরক্ষার কথা নিজের ভাবতে হচ্ছে?