নারীর আত্মবিশ্বাস নারী নিজেই
একজন নারী মা, মেয়ে, বোন কিংবা স্ত্রী এই চার রূপেই নিজেকে পুরোপুরি ফুটিয়ে তোলে এবং নিজের সেরাটা দেয়। কিন্তু নারীর ভরসা বা আত্মবিশ্বাস রক্ষা করার দায় কার?
নারী ঘরের কাজ করে, আবার সেই নারীই অফিসের কাজ করে বা ব্যবসা করে। নারীরা আজ আর পিছিয়ে নেই। তবে এত কিছুর পরেও আজও নারীকে হতে হয় বাধার সম্মুখীন। কোনো কাজ করতে চাইলেই ভাবতে হয় অনেক বার।
ধরা যাক, পোশাক নির্ধারণ নারীর মৌলিক অধিকারের একটি। নারী বোরখা নাকি হিজাব পরবে, সেলোয়ার-কামিজ নাকি টপস-জিনস পরবে, এটা নারী নিজেই ঠিক করবে। কিন্তু বেশির ভাগ সময় দেখা যায়, নারীর ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়, সে কি পরবে-না-পরবে।
নারীর কণ্ঠস্বর একটু জোরে শোনালেই তাকে ‘বেয়াদব’ আখ্যায়িত করা হয়। কিন্তু নারীরও তো নিজের কথা বলার অধিকার রয়েছে। নারীও তো নিজের কথাগুলো জোর গলায় বলতে পারে। নিজের কথাগুলো নিজে বলতে পারে।
একজন নারীর নিজের অধিকার আদায়ে নিজেকেই কথা বলতে হবে। নিজের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো নিজেকেই চাইতে হবে। নারীর জন্য ঘরের চারদেয়ালে বন্দি থাকা লাগবে, এই ধারণা ভাঙতে হবে। আর এ-সব করতে পারে একজন নারী নিজেই। নারী নিজের জন্য যদি নিজেই আওয়াজ না তোলে, তাহলে অন্য কেউ আর তার জন্য আওয়াজ তুলবে না।
নারী যদি নিজের অধিকার নিজে আদায় করতে না পারে, তাহলে তাকে সারা জীবন অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়েই বাঁচতে হবে। নারীরাও যে পারে, তারাও যে নিজের জন্য কথা বলতে পারে, আওয়াজ তুলতে পারে, এটা সকলকে জানাতে পারে একজন নারী নিজেই। অর্থাৎ, একজন নারীর আত্মবিশ্বাস সেই নারী নিজেই।