চলে গেলেন সুর সম্রাজ্ঞী
সুরসম্রাজ্ঞী বা কোকিলকণ্ঠী শব্দগুলো শোনার সাথে সাথেই মাথায় চলে আসে লতা মঙ্গেশকর। তাঁর গানের প্রেমে পরে নি এমন মানুষ পাওয়া মুশকিল। কিছুদিন থেকে করোনায় ভুগছিলেন এই মহীয়সী নারী।
২৭ দিনের লড়াই শেষ করোনার কাছে হেরে গেলেন ভারতীয় উপমহাদেশের সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮ টা ১২ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ভারতের কোকিলকণ্ঠী' লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত করেছেন ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এন সান্থানাম।
চিকিৎসক প্রতীত সামধানি জানান, ‘মাল্টি অর্গ্যান ফেলিউরের জেরেই মৃত্যু হয় লতা মঙ্গেশকরের, কোভিড আক্রান্ত হয়ে প্রায় ২৭ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি’।
করোনা আক্রান্ত হওয়ায় গত ১১ জানুয়ারি তাকে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত ছিলেন তিনি। প্রথম থেকেই তাকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছিল। ৩০ জানুয়ারি শিল্পীর কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। কিন্তু বয়সজনিত নানা সমস্যার কারণে শেষ পর্যন্ত আর লড়তে পারলেন না তিনি।
এর আগেও সঙ্কটজনক অবস্থায় একাধিক বার হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল লতাকে। কিন্তু ভক্তদের আশ্বস্ত করে প্রত্যেকবারই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন।
১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর লতার জন্ম এক মারাঠি পরিবারে। মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবাকে হারান। তার আগে অবশ্য বাবার হাত ধরেই অভিনয় এবং গান শিখতে শুরু করে দিয়েছিলেন। ১৩-১৪ বছর বয়সেই মরাঠি ছবির মাধ্যমেই প্রথম সিনেমায় গান গাওয়া শুরু। মুম্বাই যাওয়ার পর ১৯৪৮ সালে প্রথম হিন্দি গান করেন ‘মজবুর’ ছবিতে।