মা হিজাব পরে না, মেয়ে কেন পরে?
বর্তমান সময়ে মেয়ে কিংবা নারীদের পোশাক নিয়ে অনেক বেশি কথা ওঠে। কে কি ধরনের পোশাক পরিধান করছে? জিন্স পরছে নাকি কামিজ? মাথায় কাপড় দিচ্ছে কি না? পোশাক নিবার্চনে নারীদের সম্মুখীন হতে হয় অনেক বাধার।
কিছু পরিবার তাদের মেয়েদের স্বাধীনতা দিয়ে থাকে নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী পোশাক পরিধান করার। অন্যদিকে কিছু পরিবার ছোট থেকেই তাদের সন্তানদের উপর বাধ্যবাধকতা দিয়ে রাখে। এসব বাধ্যবাধকতার মধ্যে মেয়েদের হিজাব একটি।
একটি শিশু যে হিজাব কি, কেন পরতে হবে তাই জানে না। সেই অবুঝ শিশুকে হিজাব পড়ানো হয়। সে জানেই না সে কেন হিজাব পরছে। শিশুদের উপর ছোট থেকেই হিজাব চাপিয়ে দেওয়া হয়। এটি তাদের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তারা যখন বড় হয় তাদের কাছে হিজাব পরতে ভালো না লাগলেও তারা হিজাব পরা বন্ধ করে না।
পরিবারের চাপিয়ে দেওয়া বোঝা থেকে মেয়েরা চাইলেও বের হতে পারে না। আবার কিছু ভিন্ন পরিবারও রয়েছে। তারা নিজের মেয়েকে নিজের ইচ্ছে থেকে পোশাক চয়েজ করার স্বাধীনতা দিয়ে থাকে। এই স্বাধীনতার জন্য মেয়েরা নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী কাপড় পরে। অনেকে হিজাব পরা শুরু করে।
অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় পরিবারের কোনো সন্তান হিজাব পরেনি, স্বাধীনচেতা মেয়েটি নিজের ইচ্ছেতে হিজাব পরেছে। হিজাব পরাটা শুধু আত্মরক্ষা বা ধার্মিক দিক থেকে হয় না। মেয়েদের ভালো লাগা থেকেও হয়ে থাকে। কারণ এমন অনেক পরিবার আছে যেখানে মা হিজাব পরে না কিন্তু মেয়ে হিজাব ছাড়া বাইরে যায় না। এতে বোঝা যায় হিজাব পরতেই হবে বিষয়টি পরিবার থেকে দেয় নি, মেয়েটি নিজের ইচ্ছেতেই এটা পরে।
একইভাবে পরিবারে মা হিজাব পরে কিন্তু মেয়ের হিজাব পরতে ভালো লাগে না, সেক্ষেত্রে পরিবার থেকে মেয়েকে কোনো চাপ দেওয়া হয় না যে হিজাব পরতেই হবে। মেয়ে নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী পোশাক নির্বাচন করে এবং সেই অনুযায়ী পোশাক পরিধান করে।
মা হিজাব পরলে মেয়েকেও হিজাব পরতেই হবে কিংবা মেয়ে হিজাব পরলে মাকেও হিজাব পরতে হবে বিষয়টি সঠিক না। প্রত্যেকেরই নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী পোশাক পরিধানের স্বাধীনতা রয়েছে।