Skip to content

২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | মঙ্গলবার | ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নববর্ষে নবরূপে অনন্যা

দীর্ঘ ২ বছরের স্থবিরতা ভেঙে আবারও পুরনো রূপে উদযাপিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ বাঙালির আবহমান কালের সার্বজনীন ও অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক উৎসব। এই উৎসবের মধ্যেই রয়েছে বাঙালির আত্মপরিচয়, জাতীয়তাবাদের উত্থান এবং জাতিসত্তা ও সংস্কৃতির বিকাশ। এর মধ্য দিয়েই বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনা বছরের পর বছর ঋদ্ধ হচ্ছে। তাই পহেলা বৈশাখ উদযাপন বা বাংলা বর্ষবরণ কেবল আনুষ্ঠানিকতা নির্ভর কোনো উৎসব নয়। এই দিনটি বাঙালির ধর্ম নিরপেক্ষতা, অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও শেকড় সন্ধানের পরিচয়ও বহন করে।

বাংলা বছরের প্রথমদিনেই তাই নতুন রূপে সেজেছে পাক্ষিক অনন্যা। পুরনো জড়তাকে ঝেড়ে ফেলে এসেছে নতুন রূপে। দীর্ঘ ৩৩ বছরের পথচলায় অনন্যা ছিলো নারীর অন্যতম মুখ্যপত্র। নারীর সামাজিক, পারিবারিক, বৈশ্বিক এবং অর্থনৈতিক মুক্তি নিয়ে ছিলো সোচ্চার। অনন্যার জন্ম এক ভয়ংকর বন্যাক্রান্ত সময়ে।

৩৩ বছরের ক্রান্তিলগ্নেও আবার মুখোমুখি হতে হয়েছে এক বৈশ্বিক দূর্যোগের। কিন্তু দুর্যোগের মাঝে যাদের পথচলা, স্তব্ধতার বেড়াজালে আটকে থাকে কিভাবে। করোনার মতো মহামারি পুরো বিশ্বকে যখন স্থবির করে দিয়েছিলো, নারীর জন্যে গড়ে তোলা নির্ভরযোগ্য এই প্লাটফর্মটি কিন্তু থেমে যায়নি। অনন্যা হেঁটেছে ভিন্ন পথে, পা রেখেছে অনলাইন সংস্করণে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বিস্তৃত হয়েছে অনন্যার পথচলা। ধরন হয়ত পাল্টেছে, কিন্তু আচরণ পাল্টায়নি এক চুলও।

২০২০ সালের এপ্রিলের শুরুর দিকেই করোনা যখন গোটা পৃথিবীকে স্তব্ধ করে দিচ্ছিল, অনন্যা তখন পালটে ফেলে তার বলার ধরন। ‘কাগজে যেমন ওয়েবেও ঠিক তেমন’ স্লোগান নিয়ে অনন্যা অনলাইন ভিত্তিক কার্যক্রম শুরু করে। নতুন রুপে সেজে উঠে অনন্যা অনলাইন ভার্সন www.anannya.com.bd, প্রতিদিনের নারীভিত্তিক খবরের পাশাপাশি পাক্ষিক রুপে প্রকাশ হতে থাকে ই-ম্যাগাজিন

সেই সাথে সপ্তাহের প্রতিদিন চলতে থাকে অনন্যা ফেসবুক লাইভে নানা অনুষ্ঠানমালা। গড়ে উঠে ভার্চুয়ালি দেশ বিদেশের নারীদের সাথে সরাসরি যুক্ত হওয়ার নতুন প্ল্যাটফর্ম। নতুন রুপে প্রকাশ পায় অনন্যা। সময়ের প্রয়োজনে সেই ধারা পাল্টে আবারও নতুন সাজে সেজেছে অনন্যা। উদ্দেশ্য একটাই, নারীর সামাজিক, পারিবারিক, বৈশ্বিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি আর সেই সঙ্গে সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ