‘বয়স’ কেবল একটি সংখ্যা মাত্র!
যে বয়সে মানুষ যখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লড়াই করে যান, সে বয়সের এক বৃদ্ধা কিনা অনায়াসেই তুলছেন ৬০ কেজি ওজন। যেনো তিনি প্রমাণ করছেন, 'বয়স' কেবল একটি সংখ্যা মাত্র। মুরওয়ে ট্রায়না নামের এক নারী নিজের ১০০ বছর বয়সে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম ওঠালেন। তাও আবার সবচেয়ে বেশি বয়সের পেশাদার ভারোত্তোলক হিসেবে।
জীবনের ১০০টি বসন্ত পার করে এডিথের শরীরে এখন বয়সের ছাপ। কিন্তু ইচ্ছে শক্তি এতটুকুওকমেনি। বরং তার আত্মবিশ্বাসের জোরে তার ইচ্ছেশক্তি যেনো আরো কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। তার মনের বয়স যেনো আটকে রেখেছেন ৩০ এর কোঠায়।
তবে তার বর্তমানের ভারোত্তোলনের রেকর্ড দেখে যে কারো মনে হতে পারে তরুণ বয়স থেকেই ভারোত্তোলনে পারদর্শী ছিলেন তিনি। কিন্তু অবাক করা বিষয় হচ্ছে তরুণ বয়সে তার এ ধরনের কাজের সাথে কোনো সম্পর্ক ছিলোনা। এক সময় নাচের শিক্ষিকা ছিলেন এডিথ।
তিনি ভারোত্তোলন শুরু করেছেন যে বয়সে তা শুনলেও রীতিমতো আপনার চোখ কপালে উঠে যাবে। ৯১ বছর বয়সে প্রথম ভারোত্তোলন শুরু করেন এডিথ। বন্ধু কারমেন গাটওর্থের আমন্ত্রণে তার জিমে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই অন্যান্যদের ভারোত্তোলন করতে দেখেন। তখন তার মনে প্রশ্ন জাগে, সকলে পারলে তিনি পারবেন না কেন?
তাই বয়সের তোয়াক্কা না করেই শুরু করে দেন ভারোত্তোলন। কিন্তু বয়সের ভারকে তো আর পুরোপুরি অস্বীকার করা যায় না। তাই প্রথম প্রথম ভারোত্তোলন করতে গিয়ে তার সমস্যা হতো। তবে কোনোভাবেই হার মানন নি এই নারী। ভেবেছিলেন সমস্যা যখন আছে, সমাধানও ঠিকই বের হবে। প্রশিক্ষণ করতে করতে ধীরে ধীরে ভার তোলা এডিথের অভ্যাসে পরিণত হয়।
এডিথের বয়স এখন একশো পেরিয়েছে। আর এ বয়সে এখন নাকি প্রায় ৬০ কেজি ওজন তুলতে পারেন এডিথ। আর এর জন্য বিভিন্ন জায়গায় পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। তারই ধারাবাহিকতায় এবার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের খাতাতেও নাম লিখিয়ে ফেললেন শতবর্ষী এই বৃদ্ধা। ফ্লোরিডার এডিথ হয়ে উঠেছেন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সের পেশাদার ভারোত্তোলক।
এতো সাফল্যের পরও থামতে নারাজ ১০০ বছর বয়সী এই বৃদ্ধা। বরং তিনি এখন আরো বেশি প্রতিজ্ঞ। ৬০ কেজিতেও সীমাবদ্ধ থাকতে চাননা এডিথ। আরও বেশি ওজন নিজের হাতে তুলতে চান এই নারী । পুরো বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে চান বয়সের বাঁধা কোনো বাঁধাই নয়।