Skip to content

৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | সোমবার | ২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আসছে ‘নোনা জলের কাব্য’

আগামী ২৬ নভেম্বর ঢাকায় মুক্তি পাচ্ছে গত এক বছর ধরে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবগুলোতে সাড়া জাগানো ছবি 'নোনা জলের কাব্য'। বাংলাদেশে এ ছবির পরিবেশক স্টার সিনেপ্লেক্স। ছবিটিতে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, শতাব্দী ওয়াদুদ, তিতাস জিয়া, এবং তাসনোভা তামান্না।

 

তুরিন, লন্ডন, বুসান, সাও পাওলো, গুটেনবার্গ, সিঙ্গাপুর, সিয়াটেলসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে ‘নোনাজলের কাব্য’। তবে সবচেয়ে বড় খবর ছিল চলচ্চিত্র উৎসবের গণ্ডি পেরিয়ে ‘নোনাজলের কাব্য’ জায়গা করে নিয়েছিল জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলন COP26-এ। 

 

স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে অনুষ্ঠিতব্য গুরুত্বপূর্ণ এই আসরে নভেম্বরের ৮ তারিখে আইম্যাক্স থিয়েটারে দেখানো হয় বাংলাদেশের এই চলচ্চিত্র। এই সম্মেলনে পৃথিবীর প্রায় সকল দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা অংশগ্রহণ করেন। ছিলেন বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।

 

দেশের সমুদ্র উপকূলবর্তী প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রান্তিক জেলেদের দৈনন্দিন জীবনযাপন, আবহাওয়ার প্রতিকূলতার মুখে টিকে থাকার লড়াই এবং তাদের সামাজিক রীতিনীতি ও সংস্কার এই চলচ্চিত্রের মূল বিষয়। সমাজ, সংস্কৃতির উন্নয়ন এবং পরিবেশের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন রোধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে চলচ্চিত্র তথা বিনোদন অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে – এই বিশ্বাস নিয়েই পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত নির্মাণ করেছেন ‘নোনা জলের কাব্য‘। 

 

জলবায়ু সম্মেলনে কেন এই সিনেমা সেই প্রসঙ্গে পরিচালক বলেন, "সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়ার জন্য এটি হয়েছে। ২৫-৩০ বছর ধরে বসবাস করা জেলেরা কখনো ভাবেনি তাদের জীবন এভাবে বিপন্ন হবে। এই ব্যাপারটি মাত্র আড়াই বছরে ঘটেছে। এর থেকে মোক্ষম উদাহরণ আর কি হতে পারে জলবায়ু পরিবর্তনের? জলবায়ু সম্মেলনের আয়োজকরা এটি বুঝতে পেরেছেন এবং তারা আমাকে এই জন্যই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।"

 

‘নোনা জলের কাব্য‘- প্রযোজনা করেছেন রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত ও ফরাসি প্রযোজক ঈলান জিরার্দ। জিরার্দ, ‘মার্চ অব দ্য পেঙ্গুইন‘, ‘গুডবাই বাফানা‘, ‘ফাইনাল পোর্ট্রেট‘-এর মতো বিখ্যাত কিছু চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন। সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন লস অ্যাঞ্জেলসে বসবাসরত থাই শিল্পী চানানুন চতরুংগ্রোজ, তিনি ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের স্পিরিট অ্যাওয়ার্ড-এর মনোনয়ন পেয়েছিলেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ছবিটির নির্মাণ সহযোগী প্রতিষ্ঠান অমিতাভ রেজার হাফ স্টপ ডাউন। সম্পাদনা করেছেন আমেরিকার ক্রিস্টেন স্প্রাগ, রোমানিয়ার লুইজা পারভ্যু ও ভারতের শঙ্খ। শব্দ ও রঙ সম্পাদনার কাজটি হয়েছিল প্যারিসের দুটি বিখ্যাত স্টুডিওতে।

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ