ব্রণের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়
ব্রণ সমস্যায় আমরা অনেকেই ভুগি। ব্রণ আমাদের সৌন্দর্যকে অনেকাংশে নষ্ট করে ফেলে। হরমোন ক্ষরণের তারতম্য বা অভাব, জীবাণুর সংক্রমণ, ত্বকের অযত্ন, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, তৈলাক্ত ও অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, ঘুম না হওয়া, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া ইত্যাদি কারণে আমাদের ব্রণ হতে পারে। ব্রণের সমস্যা দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায় নিয়ে আজকে আমাদের আয়োজন। তাহলে জেনে নিন ব্রণ নিরাময়ের উপায়-
বরফ
বরফ ব্রণ নিরাময়ে অনেক ভালো কাজ করে। প্রথমে ত্বককে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন তারপর একটি বরফের টুকরোকে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে কয়েক মিনিট ব্রণের ওপর রাখুন। বরফ সরাসরি ত্বকে লাগাবেন না। পাঁচ মিনিট বিরতি দিয়ে আবার ব্যবহার করুন। এভাবে কয়েকবার ব্যবহার করতে পারেন।
টমেটো
ব্রণ দূর করতে টমেটো অনেক বেশি কার্যকর । টমেটো সরাসরি লাগাতে পারেন ত্বকে। আবার বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদানের সঙ্গে মিশিয়েও তৈরি করে নিতে পারেন ফেসপ্যাক। টমেটো নিয়মিত ব্যবহার করলে ব্রণ দূর হওয়ার পাশাপাশি ত্বক উজ্জ্বল ও কোমল হবে।
শসা
শসার রস ব্রণ দূর করতে খুবই কার্যকর। প্রতিদিন বাইরে থেকে এসে শসার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। কিংবা আইস কিউব করে রেখেও ইউজ করতে পারেন, এতে ওপেন পোরসের প্রবলেমও সল্ভ হবে অনেকটা।এ ছাড়া স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করতে চাইলে এর সঙ্গে চালের গুঁড়া মিশিয়ে নিলেই হবে।
টুথপেস্ট
টুথপেষ্ট ফেসপ্যাকের মতো করে ব্যবহার করতে পারেন। মুখের অতিরিক্ত তেল টেনে নেওয়ার ক্ষমতা আছে এই পেস্টের। ফলে তৈলাক্ত ত্বকের কারণে যাদের মুখে ব্রণ বা গোটা বেরয়, তারা টুথপেস্ট ব্যবহার করে উপকার পেতে পারেন। কিন্তু বেশি নয়, অল্প পরিমাণে ব্যবহার করুন ব্রণের জায়গায়। কিছুদিনেই ভালো ফলাফল পাবেন।
চন্দন
চন্দনে আছে প্রদাহরোধী ও জীবাণুনাশক উপাদান যা ‘অ্যাস্ট্রিনজান্ট’য়ের মতো কাজ করে লোমকূপ ছোট করতে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত পরিমাণ চন্দন দুধে মিশিয়ে নিন। এতে সামান্য কর্পূর মেশান। মিশ্রণটি সারা রাত ব্রণের উপর লাগিয়ে রাখুন। ঠাণ্ডা মাস্ক তৈর করতে চাইলে চন্দনের সঙ্গে গোলাপ জল পারেন। মিশ্রণটি ব্রণের উপর লাগিয়ে পনেরো মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
কমলার খোসা
ব্রণের সমস্যায় খুব ভালো কাজ করে কমলার খোসা। একটি কমলার খোসা এক কাপ পানিতে সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। নিয়মিত ব্যবহার করলে ভালো উপকার পাবেন।
ডিমের সাদা অংশ
রাতে ঘুমানোর আগে ডিমের সাদা অংশ ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় ম্যাসেজ করে সারারাত রাখতে পারেন। এটি আপনার ত্বকের খসখসে ভাব দূর করবে। আরও ভালো হয় যদি এর সাথে লেবুর রস যোগ করা যায়। আপনি এটি ২০-২৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে পারেন।
দই ও বেসন
ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে বেসন ও দইয়ের ফেস প্যাকটি বেশ কার্যকর। বেসন ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখে। দইয়ে ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে, যা ত্বকের মৃত কোষগুলো অপসারণ করে এবং ত্বক উন্নত করতে সহায়তা করে।
এছাড়াও প্রতিদিন ৯-১০ গ্লাস পানি পান করুন। রাতের খাবারের পর যেকোনো ধরনের মৌসুমি ফল খান। আর ব্রণ হলে হাত দিয়ে খোটাবেন না, খোটালে আরও বেশি ব্রণ হবে এবং ইনফেকশন হওয়ার সম্ভবনাও থাকে। আর যারা বহুদিন যাবত ব্রণ ও ব্রণের দাগ সমস্যায় ভুগছেন, কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না,তারা আর দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। ব্রণ সারাতে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ সেবন করবেন না।