আজ বিশ্ব শহর দিবস
আধুনিকায়নের যুগে পুরো পৃথিবী দিন দিন শহরকেন্দ্রিক হয়ে উঠছে। মানুষের সভ্যতাও ছুটছে শহরের দিকে। কম- বেশি সব দেশেই একই অবস্থা। উন্নত জীবন, সহজলভ্যতা, কাজের সুযোগ সব কিছুই একজন নাগরিককে শহরের দিকে টানে। আজ ৩১ অক্টোবর বিশ্ব শহর দিবস।
২০১৪ সাল থেকে প্রতিবছর এই দিনে জাতিসংঘের উদ্যোগে দিবসটি পালন করা হয়। বিশ্ব শহর দিবসের সাধারণ থিম হল বেটার সিটি, বেটার লাইফ। প্রতি বছর একটি ভিন্ন উপ-থিম এবং এটির বিশ্বব্যাপী পালনের জন্য একটি স্থান নির্বাচন করা হয়। বর্তমান বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে শহরের বাসিন্দারা বন্যা, ঝড়, তাপমাত্রা বৃদ্ধির মতো নানা রকমের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। এসব বিষয়কে সামনে রেখেই এবারের বিশ্ব শহর দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এবারের প্রতিপাদ্য 'জলবায়ুর স্বাভাবিকতা আনয়নে শহরকে উপযোগী করে তোলা।'
নগর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত নগরায়নের ফলে ঢাকায় যানজট, জলাবদ্ধতা, পরিবেশ, পানি, শিল্প ও শব্দ-দূষণ বাড়ছে। সবুজায়ন হ্রাস পাওয়ায় নগরে তাপমাত্রা বাড়ছে। ফলে সংক্রামক-অসংক্রামক সব ধরনের রোগ দিন দিন বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে নগর জীবনের চাপ, উদ্বেগ প্রভৃতির সামষ্টিক প্রভাবে মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য-ঝুঁকি। একটি বাসযোগ্য নগর ও জনবসতি গড়তে জনস্বাস্থ্যকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে শহরের পরিকল্পনা করতে হবে।
প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়। সভা-সেমিনার করে নগরের বিভিন্ন সমস্যা-সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়। রাজধানী ঢাকাতেও কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সংগঠন দিবসটি পালনে নানা কর্মসূচি নিয়েছে।
যেহেতু অধিকাংশ মানুষ শহরেই থাকে তাই এই শহরকে বসবাসের যোগ্য করে তোলার দায়িত্বও আমাদের। শহরকে উন্নত রাখা ও পরিষ্কার রাখা আমাদের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। এবছর ওয়ার্ল্ড সিটিস ডে তে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে, নিজের শহরটাকে ভাল রাখার জন্য। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য। তবেই হবে যথার্থ শহর। আমাদের বাস করার আদর্শ শহর। যেখানে মানুষ রোজগার করবে অর্থ, ভালোবাসা, সংস্কৃতি, নতুন আত্মীয়। তবেই তো হবে আরও ভাল শহর, আরও ভাল জীবন।
তাহলে আজকের দিনটা নিজের শহরটাকে প্রাণ ভরে ভালবাসুন। আর পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রেখে যান এক দুর্দান্ত শহরকে। শহরের উন্নয়নের জন্য কাজ করুন, পরিবারকে শিক্ষা দিন।