তাহসান-পূর্ণিমার নতুন টিকটকের ফিচার উন্মোচন!
সকলের কাছে সমসাময়িক সবচেয়ে পরিচিত অ্যাপের কথা জিজ্ঞেস করা হলে টিকটকের দিকে আঙ্গুল থাকবে সকলের। তরুণ প্রজন্মকে টার্গেট করে কোম্পানিটি তাদের রেভিনিউকে নিয়ে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়। সম্প্রতি মার্কেটিং বৃদ্ধি করার জন্য তারা ভিন্ন পন্থা বেছে নিয়েছে।
গত কিছুদিন আগ থেকেই তারা সমগ্র দুনিয়া-ব্যাপী কিছু প্রোগ্রাম করে চলছে। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে টিকটক বেশ কিছু সেফটি এবং প্রাইভেসি কন্ট্রোল এর সুবিধা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করছে যাতে ব্যবহারকারী আরও বেশি ব্যক্তিগত তথ্যে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে এবং কিশোর-কিশোরীদের সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে। যাদের বয়স ১৬ বছরের নিচে তাদের অ্যাকাউন্টগুলো স্বয়ংক্রিভাবে প্রাইভেট করা থাকবে, ১৬ বা তার বেশি বয়সীদের কাছে সরাসরি বার্তা পাঠানোকে সীমিত রাখা এবং ফ্যামিলি পেয়ারিংয়ের মাধ্যমে বাবা-মা তাদের ছেলে-মেয়েদের টিকটকে নজরদারি রাখার ব্যবস্থা রেখেছে।
অভিনেতা-গায়ক তাহসান খান এবং অভিনেত্রী ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব দিলারা হানিফ পূর্ণিমা টিকটকের সেফটি অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করবেন। দ্বি-মাসিক ভিত্তিতে প্ল্যাটফর্মটিতে অ্যাম্বাসেডররা ভিডিও ক্যাম্পেইন পরিচালনা করবেন। ভিডিও ক্যাম্পেইনে বড় পরিসরে সব বিষয় থাকবে, যার মধ্যে শিক্ষামূলক বিষয়, ডিজিটাল ওয়েলবিং বা ডিজিটাল সুস্থতা, বিশ্বাস এবং সেফটি। এছাড়া বিশেষ ফিচার ফ্যামিলি পেয়ারিং মোড থাকবে, যেটি ব্যক্তিগত প্রয়োজনে পিতামাতা ও কিশোর-কিশোরীদের নিজেদের মতো করে সেফটি সেটিংস করতে দেবে।
এই ক্যাম্পেইনের প্রথম ফিচার হিসেবে তাহসান ও পূর্ণিমা উন্মোচন করেছেন ‘ফ্যামিলি পেয়ারিং মোড’। ফিচারটি নিয়ে আসা হয়েছে #tiktokfamily নামে। এই ফিচারের মূল লক্ষ্য, সন্তানদের টিকটক কার্যক্রম এর ওপর পিতা-মাতাদের আরও নজরদারির সুযোগ। এর মাধ্যমে তারা টিকটকে ছেলে-মেয়েদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকবেন এবং তাদের সঙ্গে বাবা-মায়েরা আরও বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতে পারেন।
ফ্যামিলি পেয়ারিং ফিচারের মাধ্যমে বাবা-মা সন্তানদের টিকটক অ্যাকাউন্টে প্রবেশাধিকার পাবে নিজেদের অ্যাকাউন্ট সংযোগের মাধ্যমে। এর মধ্যে দিয়ে তারা জানতে পারবেন সন্তানরা কার সঙ্গে কথা বলছে, তারা কোন ধরনের কনটেন্ট দেখছে এবং অ্যাপে কতটা সময় ব্যয় করছে। সন্তানরা কার সঙ্গে কথা বলতে পারে সেটা নজরদারির পাশাপাশি বাবা-মায়েরা নির্দিষ্ট করে দিতে পারবেন কারা সংযুক্ত অ্যাকাউন্টে সরাসরি ম্যাসেজ পাঠাতে পারবেন; কিংবা পুরোদমে বন্ধ রাখতে পারবেন ডিরেক্ট ম্যাসেজ অপশনও।
টিকটক সহ অন্য এমন কিছু অ্যাপের মাধ্যমে দেশে অনেক অপ্রীতিকর ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে যেখানে তরুণরা হাল ধরবে সেখানে অনেকেই বিপথগামী হয়েছে। তবে এমন একটি পদক্ষেপকে নিঃসন্দেহে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রযুক্তিবিদ-বোদ্ধারা।