সোশ্যাল মিডিয়া ট্রাম্পের!
এমন একটি মানুষ যিনি বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমের ফ্রন্টলাইনে এসেছে তার কাজের মাধ্যমে। তিনি তার কাজের কারণে বরাবরই আলোচিত। সম্প্রতি তিনি আবার আলোচিত হলেন তার নতুন পদক্ষেপের কারণে। তবে এবার আলোচিত হয়েছেন তার প্রযুক্তি-খাতে নেওয়া পদক্ষেপের জন্য।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির নাম দিয়েছেন ‘ট্রুথ সোশ্যাল’। নতুন প্ল্যাটফর্মটি খুব শিগগির চালু করতে যাচ্ছেন বলে ঘোষণায় জানিয়েছেন ট্রাম্প। তার প্রতিষ্ঠান ‘ট্রাম্প মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপ' (টিএমটিজি)- এর মালিকানায় এটি চালু করা হবে।
টিএমটিজির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ বছরের নভেম্বর মাসে ট্রুথ সোশ্যালের প্রাথমিক ভার্সন আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য চালু করা হবে। ২০২২ সালে এটি যুক্তরাষ্ট্রের সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। নতুন প্ল্যাটফর্মটি বিগ টেক অর্থাৎ বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে’ বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন,"আমি আমার প্রথম ট্রুথ (সত্য) পাঠানো নিয়ে খুবই উত্তেজিত। সবাইকে বলার সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে টিএমটিজি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। শিগগির আমি ট্রুথ সোশ্যাল-এ আমার চিন্তা-ভাবনা শেয়ার এবং বিগ-টেকের নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবো বলে খুব উচ্ছ্বসিত"।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটাল হিলে দাঙ্গায় উস্কানিমূলক পোস্ট দেওয়ার কারণে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং টুইটারে নিষিদ্ধ রয়েছেন ট্রাম্প। টুইটার স্থায়ীভাবে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে। অপরদিকে ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষ ২০২৩ সাল পর্যন্ত ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এরপর ‘ফ্রম দ্য ডেস্ক অব ডোনাল্ড জে ট্রাম্প’ নামে একটি ব্লগ চালু করেছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু চালু হবার এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে সেটিও স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ট্রাম্পের প্রতিষ্ঠান টিএমটিজির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ছাড়াও তারা একটি ভিডিও-অন-ডিমান্ড সার্ভিস সাবস্ক্রিপশন চালু করার কথা ভাবছে।
বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিষিদ্ধ হয়ে এমন পদক্ষেপ নেওয়াটা অবাক করার মত কিছু নয়। নিজের ক্ষোভ থেকেও এমন একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলা যেতে পারে। তবে সে যেমনেই পদক্ষেপ গ্রহণ করুক নাহ কেন প্রতিযোগিতার এই সময়ে তার সামাজিক মাধ্যমটি কতটুক টিকে থাকবে সেটি দেখাই মুখ্য বিষয়।