Skip to content

মাতৃত্ব কি আর বয়সের কাছে বন্দী!

মাতৃত্ব কি আর বয়সের কাছে বন্দী!

মাতৃত্ব যেকোনো নারীর জীবনেই যেন পূর্ণতা এনে দেয়। যাকে বলা যায় পৃথিবীর সবথেকে সুন্দর অনুভূতি।  কিন্তু মাতৃ সত্ত্বাকে পূর্ণ করতে নারীদের যেমন জীবন ঝুঁকি নিতে হয়, তেমনি মা হতে পারা নিয়েও থাকে নানান প্রতিবন্ধকতা।  প্রতিবন্ধকতা গুলোর মধ্যে একটি বড় বিষয় ধরা হয় বয়স। বেশি বয়সে সন্তান নেওয়াটা বেশ ঝুঁকির।  এমনও প্রচলন আছে বয়স বেশি হয়ে গেলে মেয়েদের সন্তান ধারণে ক্ষমতা কমে যায়। ৩০ এর আগেই প্রথম সন্তান নেওয়া উচিত।  কিন্তু মাতৃত্ব কি বয়সের কাছে বন্দী?  মোটেই নয়৷ আর সেটাই প্রমাণ করলেন ৭০ বছরের এক বৃদ্ধা। 

 

বিয়ের ৪৫ বছর পরে প্রথম সন্তান জন্ম দেন ভারতের এক নারী। নাম জিভবেন ভালাভাই রাবারি। ভারতীয় গণমাধ্যমে উঠে এসেছে গুজরাতের এই বাসিন্দা ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন বা আইভিএফের মাধ্যমে গত মাসে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। 

 

এই বয়সে সন্তান নিতে চিকিৎসকদের নিষেধই ছিলো। কিন্তু মাতৃত্বের স্বাদ পেতে আবেগপ্রবণ হয়েই ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও জিভবেন সন্তান নেন। বয়সের কারণে তার নিয়মিত পিরিয়ডও বন্ধ হয়ে যায়।  এমন পরিস্থিতিতে আইভিএফের মাধ্যমে সন্তান নেওয়াটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো। 

 

চিকিৎসকরা জানান, এ পদ্ধতিতে সন্তান নেওয়ার জন্য প্রথমে ঔষধ দিয়ে তার মাসিক চক্র নিয়মিত করতে হয়। তারপর বয়সের কারণে সঙ্কুচিত হয়ে যাওয়া জরায়ুকে চওড়া করা হয়। পরবর্তীতে তার ডিম্বাণু নিষিক্ত করার পর ব্লাস্টোসিস্ট তৈরি করে জরায়ুতে স্থানান্তর করা হয়। 

 

কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবেই চিকিৎসকরা সোনোগ্রাফিতে ভ্রূণের উন্নতি দেখতে পান। স্বাভাবিক গর্ভধারণের মতই ভ্রূণে কোনোরকম সমস্যা ছাড়াই সন্তান বেড়ে উঠে।  কিন্তু বয়সের কারণে গর্ভধারণের আট মাসের মাথায় অস্ত্রোপচারের  সিদ্ধান্ত নিতে হয় চিকিৎসকদের। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমেই পুত্র সন্তানের জন্ম দেন জিভবেন । এমনকি মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ আছেন বলেই নিশ্চিত করেন চিকিৎসকরা।