যদি পেয়ে যান একটা কান্নাঘর!
মাঝে মাঝেই তো ভীষণ মন কেমন করে। এমন মনে হয় চিৎকার করে একটু কাঁদি। মধ্যদুপুরে কটকটে রোদের দিকে তাকিয়েই কেমন দম বন্ধ হয়ে আসে। কান্নারা সব কেমন গলা চেপে ধরে। কিন্তু চারপাশের হৈচৈ, ব্যস্ততা কান্নাটাকেও কেমন গিলে ফেলে। কান্নাতো প্রায়ই পায়। যেকোনো মন ভাঙার কারণেই হোক না কেন। এই সময়টাতে যদি একটা কান্না করার জায়গা পেতেন খুব ভালো হত মনে হচ্ছে না?
স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে বানানো হয়েছে এমন একটি কান্নাঘর। এটি এমন একটি প্রকল্প যার লক্ষ্য হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন। আর এই প্রকল্পের সঙ্গে দেশটির যে কেউ যুক্ত হতে পারেন।
মানসিক স্বাস্থ্যের উপর জোর দিয়ে এ ধরনের কান্নাঘর তৈরি করার পরিকল্পনা খুবই অভিনব। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো স্পেনেও কান্নাকে একধরনের দুর্বলতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যা মূলত মানসিক পরিস্থিতির বহিঃপ্রকাশ। ডিপ্রেশন, হতাশা, প্রিয়জন বিয়োগ, লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পারা, পারিবারিক সমস্যা যেকোনো কারণেই মানুষের মন ভাঙ্গে। মানুষ একাকীত্বে ভোগে। তার থেকে সৃষ্টি হয় মানসিক সমস্যা। যা মানুষকে অনেক ক্ষতিকর সিদ্ধান্ত নিতেও প্রলোভিত করে। এসব থেকে মানুষকে মানসিকভাবে সুস্থ করার লক্ষ্যে স্পেনে এমন উদ্যোগ।
এবিষয়ে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। গত এক সপ্তাহ আগে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য স্পেনের সরকার ১১ কোটি ৬০ লাখ ডলার বরাদ্দ দেন। এছাড়াও আত্মহত্যাপ্রবণ মানুষের জন্য ২৪ ঘণ্টার হেল্পলাইনও চালু করা হয়।
কান্নাঘরেও রয়েছে মানসিক উদ্বেগ, হতাশা থেকে বের হওয়ার জন্য নানা আয়োজন। ঘরটির এক কোণে রয়েছে একটি ফোন। সেখানে হতাশা কাটাতে কথা বলার জন্য দেওয়া আছে বেশ কিছু ফোন নম্বর। তাঁদের মধ্যে একজন মনোবিদও রয়েছেন।
এমন অভিনব প্রকল্প মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে বেশ কার্যকরী হতে পারে। যা স্পেনের ৫ দশমিক ৮ শতাংশ উদ্বেগ ও মানসিক অসুস্থতায় ভোগা মানুষের সংখ্যা কমিয়ে আনতে সহায়ক।