Skip to content

২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | বুধবার | ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এক নজরে অনন্যা সাহিত্য পুরষ্কার ২০২১

গুটি গুটি পায়ে ৩৩ বছর থেকে ৩৪ বছরে পদার্পণ সময় টা দীর্ঘ তবে সময়ের সাথে সাথে এগিয়ে যাচ্ছে অনন্যা। নারীদের প্রতিবন্ধকতা থেকে অগ্রযাত্রার পথ প্রশস্ত করে নারীদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পাক্ষিক অনন্যা। নারী সফলতা ও অগ্রযাত্রার কথা তুলে ধরতে এবং তাদের সম্মাননা দিতে অনন্যা দিয়ে আসছে অনন্যা সাহিত্য পুরষ্কার ও অনন্যা শীর্ষ দশ পুরষ্কার। 

১৯৯৩ সাল থেকে অনন্যা সাহিত্য পুরষ্কার দেওয়া হচ্ছে। গত ২৮ বছর থেকে নারীদের অগ্রযাত্রায় অনুপ্রেরণা দিতে এবং সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতিবছর একজন কৃতী নারী-সাহিত্যিক অথবা সাহিত্য-গবেষককে অনন্যা সাহিত্য পুরষ্কার প্রদান করা হয়।

আজ অনন্যা’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এক নজরে ফিরে দেখা যাক ২০২১-র অনন্যা সাহিত্য পুরষ্কার। ২০২১ সালে অনন্যা সাহিত্য পুরষ্কার পেয়েছেন ঝর্ণা রহমান। বাংলা ভাষার কথাসাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ‘অনন্যা সাহিত্য পুরষ্কার-২০২১’ পেয়েছেন বিশিষ্ট লেখক ঝর্ণা রহমান। তিনি একাধারে ঔপন্যাসিক, গল্পকার, কবি, প্রাবন্ধিক, সম্পাদক ও সাহিত্য সংগঠক। 

ঝর্ণা রহমান তার সাহিত্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো তিনি বিশদ বিবরণের ভেতর দিয়ে সমাজ ও ব্যক্তিমানসের নানা সংকট উন্মোচন করেন। তার আখ্যানরীতি এবং বর্ণনা-শৈলী যেমন স্বতন্ত্র তেমনই ঋদ্ধ। নারী-পুরুষের সম্পর্ক, নারী জীবনের অন্তর্গত বেদনা তার সাহিত্যের প্রিয় বিষয় হলেও তিনি দেশজ এবং সামাজিক প্রায় প্রতিটি অনুষঙ্গকে তার সাহিত্যের বিষয় করে তুলেছেন।

তার উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ: ঘুম-মাছ ও এক টুকরো নারী, অগ্নিতা, স্বর্ণতরবারি, কৃষ্ণপক্ষের ঊষা, পেরেক, জাদুবাস্তবতার দুই সখী, বিপ্রতীপ মানুষের গল্প, বিষপিঁপড়ে, তপতীর লাল ব্লাউজ, আয়নামামি। অনূদিত গল্পগ্রন্থ: ‘ডাউন অব দ্যা ওয়েনিং মুন’, উপন্যাস: পিতলের চাঁদ, ভাঙতে থাকা ভূগোল, কাব্যগ্রন্থ: জল ও গোলাপের ছোবল, হরিত্ রেহেলে হূদয়, চন্দ দহন, নাট্যকাব্য: উড়ন্ত ভায়োলিন। কিশোর উপন্যাস: আদৃতার পতাকা, হাতিমা ও টুনটুনি, নাটক: বৃদ্ধ ও রাজকুমারী, ভ্রমণ: আমরা যখন নেপালে।

১৯৮০ সালে বাংলাদেশ পরিষদ আয়োজিত একুশে সাহিত্য পুরষ্কার প্রতিযোগিতায় ছোটগল্পে জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে সাহিত্যে আত্মপ্রকাশ। এ পর্যন্ত তার প্রায় ৬০টির মতো গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ঝর্ণা বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে সম্প্রতি অবসরে গেছেন। তিনি সাহিত্য সংগঠন ‘পরণকথা’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। এছাড়া তিনি ছোট কাগজ ‘পরণকথা’ এবং ‘ত্রৈমাসিক অগ্রসর বিক্রমপুর’-এর সম্পাদক।

প্রসঙ্গত, অনন্যা ১৯৮৮ সাল থেকে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। অনন্যা ম্যাগাজিনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে সামাজিক ভাবে বিভিন্ন সফল নারীদের ১৯৯৩ সাল অনন্যা সাহিত্য পুরষ্কার শীর্ষক বার্ষিক পুরষ্কার দেওয়া হয়।

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ