আজ বিশ্ব খাদ্য দিবস
‘আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষ্যৎ-ভালো উৎপাদনে ভালো পুষ্টি, আর ভালো পরিবেশেই উন্নত জীবন' এই প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ পালন করছে বিশ্ব খাদ্য দিবস।
'ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়।' এ যুগে এসেও মানুষের তিন বেলা পেটপুরে খাবারের বিষয়টি বড় বিবেচ্য বিষয়। বাড়তে মানুষ, বাড়ছে কৃষিজ উৎপাদন, কিন্তু তারপরও অর্ধাহারে, অনাহারে দিন কাটাচ্ছে বিশ্বের অসংখ্য মানুষ।
এক পৃথিবীর ভেতরই বিপরীত দৃশ্য। একদিকে অভুক্ত মানুষ, অন্যদিকে বিপুল পরিমাণ খাদ্যের অপচয়। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার পরিসংখ্যান বলছে, শস্য আহরণ, সংরক্ষণ ও পরিবহন পর্যায়ে শতকরা ১৪ ভাগ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ১৭ ভাগ খাবার অপচয় হচ্ছে, যেখানে বিশ্বের ৪০ ভাগ মানুষেরই স্বাস্থ্যকর খাবার কেনার সামর্থ্য নেই।
অনিয়ন্ত্রিত খাবার গ্রহণে স্থূলকায় আকৃতি, সুষম খাবার না খাওয়ায় খর্বাকৃতি আর দুই ক্ষেত্রেই পুষ্টিহীনতায় ভুগছে মানুষ। এই সমস্যা তো কমছেই না বরং দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। এক সমীক্ষায় দেখা যায়, প্রতি বছর সারা বিশ্বে প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ খাদ্যে দূষণজনীত ডায়রিয়ায় মারা যাচ্ছে।
কৃষি ব্যবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে, তাই খাদ্যাভ্যাসেরও পরিবর্তন এখন খুবই জরুরি। খাবারে বৈচিত্র্য এনে পুষ্টিকর খাবারের নিশ্চয়তায় পথ খুঁজতে হবে মানুষকেই। তা না হলে এ সমস্যা থেকে উত্তরণ খুবই কঠিন হয়ে যাবে মানুষের জন্য।